• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের দেশে পাঠাতে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক


মালয়েশিয়া প্রতিনিধি জুলাই ২৪, ২০১৯, ০১:৫৭ পিএম
মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের দেশে পাঠাতে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের দেশে পাঠাতে বিমানের ম্যানেজাররে সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

ঢাকা: মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশি এয়ার লাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই ) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় দূতাবাসের হলরোমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠকে মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষিত (বিফোরজি) প্রোগ্রামের আওতায় হয়রানিমুক্ত সহজ পদ্ধতিতে অবৈধ প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে হাইকমিশনের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন মালয়েশিয়ায় দায়িত্বরত বিমান বাংলাদেশ, ইউএস বাংলা ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা।

বৈঠকে চলমান এয়ার লাইন্স টিকেটের মূল্য হ্রাস করে বিফোরজি প্রোগ্রামের আওতায় যারা দেশে প্রত্যাবর্তন করবে তাদের টিকেট যাতে কম রাখার  জন্য অনুরোধ জানান হাইকমিশনার।  সে প্রস্তাব সংশ্লিষ্টরা তাদের ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন। 

তবে প্রবাসীরা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ঈদকে সামনে রেখে টিকিটের দাম দ্বিগুণ করে দিয়েছেন এয়ারলাইনসগুলো। অতিরিক্ত মালামাল বুকিংয়ের জন্যে প্রতি কেজি মালের জন্যে আগে যেখানে ২০ রিংগিত ছিল এখন ১০ রিংগিত বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। 

হাইকমিশনার সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য বলেন, এই প্রোগ্রামের আওতায় কালোবাজারিদের দ্বারা যাতে করে সাধারণ কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও সবার খেয়াল রাখতে হবে। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, শ্রম কাউন্সিলর মো: জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব কন্স্যুলার মো: মাসুদ হোসেইন, ২য় সচিব শ্রম ফরিদ আহমদ। বাংলাদেশি এয়ার লাইন্সদের মধ্যে ছিলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার ইমরুল কায়েছ, ইউ এস বাংলা এয়ার লাইন্সের অপারেশন ম্যানেজার মো: শহিদুল ইসলাম, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজের ইনচার্জ (জিএসএ) মো: হৃদয়।

উল্লেখ্য, এ কর্মসূচি ১ আগস্ট শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত চালু থাকবে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট এবং নিশ্চিত (কনফার্মড) বিমান টিকিটসহ আবেদন করতে হবে এবং জরিমানা ও স্পেশাল পাস বাবদ সাকূল্যে ৭০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত জমা দিতে হবে। ইমিগ্রশন কর্তৃপক্ষ আবেদনের এক কার্যদিবসের মধ্যেই স্পেশাল পাশ বা বহির্গমনের অনুমতি প্রদান করবে। এই অনুমতি প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই মালয়েশিয়া ত্যাগ করতে হবে।

এ কর্মসূচির কাজ প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোন ৩য় পক্ষ বা ভেন্ডর বা এজেন্ট নিযুক্ত করা হয় নি। কোন মাধ্যম ছাড়াই আবেদনকারীকে সরাসরি নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিসে স্বশরীরে হাজির হতে হবে। যদি কেউ ৩য় পক্ষ বা ভেন্ডর বা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ভূয়া তথ্য প্রদান করে আর সেটি প্রমাণিত হয় তাহলে আবেদনকারীর জেল- জরিমানা হতে পারে। আবেদনকারী সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য হাইকমিশনের পরামর্শ নিতে আহবান জানিয়েছেন হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। 

সোনালীনিউজ/এএম/এএস

Wordbridge School
Link copied!