• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদি


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৬:৫৬ পিএম
মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদি

ঢাকা : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ। এ উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষ’। আর তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আমন্ত্রিত অনেক বিশ্বনেতার পাশাপাশি মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে অংশ নেবে ভারতীয় নেতাদের একটি দল। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও ঢাকার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’। নয়াদিল্লিভিত্তিক অন্য সংবাদমাধ্যমও এ খবরটি প্রকাশ করেছে।

কলকাতায় বাংলাদেশ বইমেলায় অংশ নিয়ে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ‘দ্য হিন্দু’কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তার পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বেশ ক’জন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধীদলের নেতাও আমন্ত্রণ পাবেন।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার। এই উদযাপনের উদ্বোধন হবে আগামী বছরের ১৭ মার্চ। সেই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বছরব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হবে।

বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা ‘দ্য হিন্দু’কে জানান, অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিতে বিশ্বের অন্তত ৩০ শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে ডজনখানেক নেতা তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য পাকিস্তান এই উদযাপনে আমন্ত্রণ পাচ্ছে না।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী জানান, মুজিববর্ষ উদযাপনে ঢাকার পাশাপাশি দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলায়ও নানা কর্মসূচি পালিত হবে। বাংলাদেশের মিশনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ‘দ্য হিন্দু’কে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও জাপানেও আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আটটি উপ-কমিটি গঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক উপ-কমিটি বিদেশের কর্মসূচিগুলোর সমন্বয় করছে।

কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানিয়ে ড. কামাল চৌধুরী বলেন, ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হবে। কলকাতা ও আগরতলায় যৌথ প্রকাশনা, সংবাদ সম্মেলন, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও সেমিনারের আয়োজন থাকছে। এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব ভারতীয় সাংবাদিক অবিরাম খবরের পেছনে কাজ করে গেছেন তাদের ঢাকায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেখানে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!