• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেদীর ‌‌‘ইভান্স’ চ্যালেঞ্জ উড়িয়ে দিল মুশফিকের চিটাগং


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০৫:১৭ পিএম
মেহেদীর ‌‌‘ইভান্স’ চ্যালেঞ্জ উড়িয়ে দিল মুশফিকের চিটাগং

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: লরি ইভান্সের ব্যাটে সওয়ার হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁরে দিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস। ব্যাটে সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন মুশফিকুর রহীম আর মোসাদ্দেক হেসেন। রাজশাহীর বোলারদের পিটিয়ে বন্দর নগরীর দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।  

লরি ইভান্সের ৫৬ বলে ৭৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি গড়েছিল রাজশাহী কিংস। ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চিটাগং ভাইকিংস। ৬ উইকেটের এই জয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে চিটাগং ভাইকিংস। 

৭ ম্যাচ খেলে ৬ জয় আর ১ হারে মুশফিকদের পয়েন্ট ১২। ৮ ম্যাচে ৫টি করে জয় ও ৩টি করে হারে তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সমানসংখ্য ম্যাচ খেলে ৪টি করে জয়-পরাজয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে আছে রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস।

ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভাল করতে পারেনি চিটাগং। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। শুরুর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আঘাত হানেন আরাফাত সানি। তার বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির আলি। একই ওভারে মোহাম্মদ শেহজাদকে শিকার করেন সানি। বিদায়ের আগে মাত্র ১৭ বলে ২৫ রান করেন এ আফগান ব্যাটসম্যান।

৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভিশন চাপে পড়ে চিটাগং। এমন অবস্থায় আরেক আফগান নাজিবুল্লাহ জাদরানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তাদের ব্যাটে  লক্ষ্যে এগোচ্ছিল বন্দর নগরীরর দলটি। ব্রেক থ্রু পেতে আবারও সানির হাতে বল তুরে দেন মিরাজ। প্রতিদানে নাজিবুল্লাহকে বিদায় করেন এই স্পিনার। ফেরার আগে ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন এ আফগান।  

তবে অপর প্রান্তে অবিচল মুশফিক নতুন করে জুটি বাঁধেন মুশফিকের মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে। দ্রুতই বোঝাপড়া গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। দুজনই সমানতালে রান তোলেন। ফলে জয়ের পথে এগিয়ে যায় চিটাগং। শেষ পর্যন্ত এই জুটিতে ভর দিয়েই ২ বল হাতে রেখে কাঙ্ক্ষিত জয় পায় চিটাগং। ৪৬ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ রানে মুশফিক আর ২৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করতে শুরুতেই রবি ফ্রাইলিংকের হাতে বল তুলে দেন মুশফিক। প্রথম ওভারে না পারলেও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই রাজশাহী কিংসের ওপেনার সৌম্য সরকারকে সাজঘরে পাঠান এই পেসার।

শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার আগেই আঘাত হানেন খালেদ আহমেদ। মার্শাল আইয়ুবকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে বিদায় জানান জাতীয় দলে সদ্য অভিষিক্ত এই বোলার। এরপর আইরিশ রায়ান টেন ডেসকাটকে সঙ্গী করে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন লরি ইভান্স। সফলও হন তারা। মেরে খেলতে গিয়ে আবু জায়েদের বলে ইয়াসির আলির তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেসকাট।

সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসানও। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তখনও একপ্রান্ত আগলে যাচ্ছিলেন ইভান্স। ইনিংসের ১৮তম ওভারে এসে ছন্দ পতন ঘরে এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের। খালিদ আহমেদের বলে মুশফিকুর রহীমের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেয়ার আগে ৫৬ বলে ৮টি চার আর ২ ছক্কায় ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ইভান্স। রাজশাহীর তখন ৫ উইকেটে ১১৯ রান।

শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন জোনকার ও মেহেদী মিরাজ। ২০ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন জোনকার। আর ৪ বলে ১০ রান করেন রাজশাহী অধিনায়ক। আর তাতেই ৫ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজশাহী কিংস। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ২টি উইকেট শিকার করেন খালিদ আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম, আবু জায়েদ ও রবি ফ্রাইলিংক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!