• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সব আন্দোলন যখন বিস্ফোরিত হবে সেদিন ভেসে যাবেন


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৫, ২০১৯, ০১:১৪ পিএম
সব আন্দোলন যখন বিস্ফোরিত হবে সেদিন ভেসে যাবেন

ঢাকা : আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না দাবি করে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, আন্দোলন জমা থাকে। আন্দোলন কখনও হারিয়ে যায় না। সকল আন্দোলন যখন বিস্ফোরিত হবে সেদিন ভেসে যাবেন।

রোববার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১২তম মৃত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা আ স ম রব আরও বলেন, সময় আসছে। সুযোগ আসবে সংগঠিত থাকুন। অপেক্ষা করুন। শুধু রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে স্বৈরাচারকে উৎখাত করা যায় না। সমাজের রাষ্ট্রের সকল জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে স্বৈরাচারকে উৎখাত করতে হয়।

জেএসডির সভাপতি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মনে করছেন এভাবে চিরবন্দোবস্তর মাধ্যমে টিকে থাকবেন? এটা অসম্ভব। হিটলার নাই, মুসোলিনি নাই, ফেরাউন নাই, সাদ্দাম নাই। আপনারাও থাকবেন না। ২০ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমানকে সকল মামলা প্রত্যাহার করে জনগণ যেভাবে নিয়ে এসেছিলো খালেদা জিয়াকেও জনগণ সেইভাবে কারাগার থেকে মুক্ত করবে।

আ স ম রব বলেন, আগামী কালকে যে শিশুটির জন্ম গ্রহণ করবেন তার মাথায় ৫০ হাজার টাকা ঋণ। এই হলো এ সরকারের উন্নয়ন।

ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, গত 8 বছরে ছাত্রদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়েছে। গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনের নামে প্রহসন হল তা একটি কলঙ্কিত অধ্যায়।

ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে এর কোন বিকল্প নেই মন্তব্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর যত নির্বাচন হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন কোন জায়গাতে মানুষ ভোট দিতে যায়নি।

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ডাকসু নির্বাচন কি কোন নির্বাচন হয়েছে। পুলিশ হয়তো সিল মারেনি। বিজিবি হয়তো সিল মারেনি। কিন্তু সিল মারা তো হয়েছে। চুরি করা ব্যালট বাক্স পাওয়া গেছে। সিল মারা ব্যালট বাক্স তো পাওয়া গেছে। তারপর সেই ডাকসুকে আবার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে ডাকসু ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে এখন নতুন একটা স্তম্ভ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ যেন কথা বলতে না পারে এরকম অবস্থা তৈরি করে রেখেছে এই জুলুমবাজ সরকার। মানুষের মধ্যে এখন এক ধরনের হতাশা। আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে ভাই দেশের অবস্থা কি হবে? পাঁচ বছর এটাই কি থাকবে।

টি এম গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নিতাই রায়, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!