• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিগারেট পেলেই সেক্স করতে রাজি এই নাবালিকারা


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ২, ২০১৯, ০৯:৩৬ পিএম
সিগারেট পেলেই সেক্স করতে রাজি এই নাবালিকারা

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: ব্রাজিলের সেক্স ট্যুরিজম ব্যবসা জমজমাট। কিছুতেই দেশটির নাবালিকাদের বেআইনি যৌন ব্যবসার রমরমা ঠেকানো যাচ্ছে না। মাত্র এক প্যাকেট সিগারেটের দামে পর্যটকরা পাচ্ছেন নাবালিকাদের দেহ ভোগের সুযোগ।

এমনিতেই ব্রাজিল ফ্রি সেক্সের দেশ। যৌন ব্যবসা সে দেশে আইনিভাবে স্বীকৃত। কিন্তু ১৮ বছরেরও কম বয়সীরা যেভাবে বিশ্বকাপের সুযোগে সহজে টাকা রোজগারের রাস্তায় নেমে পড়েছেন তা নিয়ে চিন্তিত সে দেশের সরকার। ব্রাজিলের আইনজীবী অ্যান্টনিও লিমা সিওসার বক্তব্য, ‘এই নাবালিকারা চরম দারিদ্র দেখেছে। নিজের মা’কে অর্থের অভাবে যৌন ব্যবসায় নামতে দেখেছে। তাই যে মেয়ে মাত্র ১০ বছরের গণ্ডীও পেরোয়নি সেও বিশ্বকাপের সুযোগে সহজে অর্থ উপার্জন হিসেবে এই ব্যবসায় নেমে পড়েছে।’ ব্রাজিলের পঞ্চম জনবহুল শহর রেসিফিতে এই ব্যবসা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

নাবালিকাদের ভোগ করতে বিদেশি পর্যটকদের গ্যাঁট থেকে খসাতে হচ্ছে মাত্র ২ ডলার, জানাচ্ছে সে দেশের এক সংবাদপত্র। কিছু নাবালিকা আবার টাকাও চাইছেন না। এক প্যাকেট সিগারেট বা একটু হেরোইনের বিনিময়ে শয্যায় যেতে প্রস্তুত ব্রাজিলীয় কিশোরীরা। এরকমই এক চাইল্ড সেক্স ওয়ার্কারের বক্তব্য, একটু নেশা করলে মাথার মধ্যে খিদের ভাবনা আসে না। তাই নেশা করি। আর নেশা করতে টাকা লাগে। এক দেবে টাকা? তাই এই ব্যবসায় নেমেছি। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ব্রাজিলে নাবালিকা  যৌন কর্মীদের রমরমা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সাউথ আফ্রিকা বা জার্মানিতে বিশ্বকাপের থেকে ব্রাজিলে বিশ্বকাপের সময় নাবালিকাদের এই পেশায় নামার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

পেশায় যৌনকর্মী, বছর ১৪’র আমান্ডা জানিয়েছেন, অনিয়ন্ত্রিত যৌন সংসর্গের জন্য তাকে দু’বার গর্ভপাত করাতে হয়েছে। কিন্তু এই ব্যবসায় সে ইচ্ছে করে নামেনি। তার বয়স যখন পাঁচ, তখন দিদা তাকে জোর করে এক পুরুষের ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। সেই শুরু। বিশ্বকাপের বাজারে এক প্যাকেট সিগারেট বা ২ ডলারের বিনিময়ে অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে তাঁর শয্যায় যেতে প্রস্তুত আমান্ডা। আমন্ডার মত ২৫ লক্ষ নাবালিকা যৌনকর্মী এই মুহূর্তে ব্রাজিলের কোনও না কোনও শহরে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করছে। তাদের মধ্যে কেউ অল্প সময়ে পয়সা রোজগার, কেউ আবার পরিবারের চাপে পড়ে এই ব্যবসায় নেমেছে। সে দেশের সংবাদপত্র জানাচ্ছে, মাত্র পাঁচ থেকে ১০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এক শ্রেণির দালালরা এই কিশোরীদের তাদের পরিবার কাছ সারাজীবনের মত কিনে নেন। তারপর সেই কিশোরীকে ব্যবসায় নামিয়ে আজীবন রোজগার করতে থাকেন। এরকমই এক হিউম্যান ট্রাফিক্যারের বক্তব্য, এখানে এত গরীব যে খুব সহজেই এই মেয়েদের বেশ্যাবৃত্তিতে নামানো যায়।

ব্রাজিল সরকার এই ব্যবসা থেকে নাবালিকাদের দূরে রাখতে বহু পয়সা খরচ করার দাবি করতে। কিন্তু সে দেশের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কর্মরত এক সিস্টারের মতে, শিশুরা সঠিক পরিবেশে বাঁচার সুযোগ পেল কি না তা নিয়ে এ দেশের পুলিশ মোটেও চিন্তিত নয়। বরং পুলিশ এই ব্যবসা থেকে টাকা নেয়। আর পর্যটক ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এই ব্যবসা লুকোতে চায়।র কোলে কে এই তরুণী? সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল এই ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!