• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিপিবির ৭৪ প্রার্থী চূড়ান্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, ০২:৪২ পিএম
সিপিবির ৭৪ প্রার্থী চূড়ান্ত

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘কাস্তে’ প্রতীকের চূড়ান্ত ৭৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি জানান, সিপিবির ৭১ এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের হয়ে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের একজন, গণমুক্তি ইউনিয়নের একজন এবং শ্রমজীবী সংঘের এজনসহ ৭৪ জন কাস্তে মার্কায় নির্বাচনে অংশ নেবেন।

সিপিবি থেকে এবারের নির্বাচনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চেয়ে দ্বিগুণের বেশি প্রার্থী অংশ নিচ্ছে।

সিপিবি’র সভাপতি জানান, এবার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের মধ্যে ১৬ জন এবং সভাপতিমণ্ডলীর পাঁচজন ভোটের লড়াইয়ে নামছেন। এছাড়া জেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের ১২ জন এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা শুধু কাস্তে মার্কায় নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করব তাই না, আমাদের জোটের অন্যান্য শরিকদের জন্য কোদাল ও মই মার্কায় যারা নির্বাচন করছে, তাদের বিজয় করার জন্য এ নির্বাচনী সংগ্রামে অংশ নেব।’ বাম গণতান্ত্রিক জোট থেকে মোট ১৪০ জন এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

অবাধ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংশয়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, ‘এসব অভিযোগ ষোল আনা সঠিক। কিন্তু একই ধরনের অভিযোগ ২০০১ সালের বা অন্যান্য সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির ব্যাপারে করা হয়েছিল। যখন আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে তারা সত্য কথা বলেন। আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বললে সত্য কথা বলে। দেশবাসীর অভিজ্ঞতা হল- এই দুটি দল যখন বিরোধী থাকে তখন তারা অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে যায়। আর এরাই ক্ষমতায় গেলে কীভাবে কারচুপি করে জনমত তোয়াক্কা না করেই জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকার কৌশল বের করে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘এই নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ হবে না। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে দেশ থেকে লুটপাটের ব্যবস্থা দূর করতে হবে। এভাবে বলতে যদিও খারাপ লাগে, লুটপাটের সবচেয়ে ভাল উৎস হল- এমপি নির্বাচন। যখন রাজনীতির সঙ্গে বাণিজ্যযুক্ত করা হয়, তখনই সর্বনাশ হয়। এখান থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারলে অবাধ নির্বাচন হবে না।’

নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না ধরে নেওয়ার পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণ ব্যাখ্যা করে এই বাম নেতা বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আর অবাধ নির্বাচন এক জিনিস না। অংশগ্রহণের বিষয়টা চিন্তা করেছি আমার আন্দোলনের জন্য কোনটা সুবিধা হবে, অংশগ্রহণ নাকি বর্জন; এবার আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করছি। এ জন্য আমরা বলছি এক পা আন্দোলনে, এক পা নির্বাচনে।’ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও করেন সেলিম।

শেষ পযন্ত সিপিবি নির্বাচনে থাকবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি ভিন্ন কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়, তাহলে আমাদের অন্য চিন্তা করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’

নারীর ক্ষমতায়নে সরব হলেও সিপিবির নারী প্রার্থী সংখ্যা কম থাকার বিষয়ে সেলিম বলেন, ‘এটা একেবারে সত্য কথা, স্বীকার করছি। আমাদের একজন নারী প্রার্থী হয়েছেন। আমরা আরও দুজনের জন্য মনোনয়ন ঘোষণা করেছিলাম, কিন্তু অর্থের জোগান করতে না পারার কারণে সেটা আর হয়ে উঠেনি। আদিবাসী থেকেও নারী প্রার্থী করতে চেয়েছিলাম, একই কারণে শেষ পর্যন্ত হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ল²ী চক্রবর্তী, আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন ও অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!