• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্মার্টফোন অ্যাপ লোকেশন জানতে চায় কেন?


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০১:৪২ পিএম
স্মার্টফোন অ্যাপ লোকেশন জানতে চায় কেন?

ঢাকা : বিভিন্ন প্রয়োজনে স্মার্টফোনে আমরা অনেক অ্যাপ ইনস্টল করে থাকি। এসব অ্যাপের মধ্যে কমবেশি প্রায় সবগুলোই বিভিন্ন সময় লোকেশন সম্পর্কে জানতে চায়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মধ্যে যে বিষয়গুলো পড়ে, লোকেশন তার মধ্যে অন্যতম।

ম্যাপ, রাইড শেয়ারিং কিংবা এ ধরনের অন্যান্য অ্যাপ লোকেশন জানতে চাইলে ধরেই নেওয়া হয় সেটি প্রয়োজনেই জানতে চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরেও অনেক অ্যাপ নানা সময় লোকেশন অ্যাকসেস নিয়ে থাকে। এর কারণ কী?

এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। একজন ব্যবহারকারী কী পরিমাণ লোকেশন ডাটা অ্যাপগুলো সংগ্রহ করে, তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। এ ছাড়া এসব তথ্য ব্যবহার করে কীভাবে এসব অ্যাপ নির্মাতারা বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছেন, তাও উঠে এসেছে এ প্রতিবেদনে।

কোন কোন অ্যাপ আপনার লোকেশন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছে, তা জানতে সেটিংস থেকে অ্যাপ লিস্ট দেখে নিন। হয়তো অবাক করার মতো কিছু অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

এবার দেখে নেওয়া যাক ক্যাটাগরি অনুযায়ী কোনো ধরনের অ্যাপের লোকেশন অ্যাকসেস নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে-

ওয়েদার : আবহাওয়ার খবর জানতে অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপ ইনস্টল করে থাকেন। এ অ্যাপগুলো সাধারণত এলাকাভেদে সঠিক আবহাওয়ার খবর জানাতে লোকেশন অ্যাকসেস নিয়ে থাকে।

ম্যাপস : গুগল ম্যাপস কিংবা এ ধরনের অন্যান্য অ্যাপের জন্য লোকেশন জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সে হিসেব করেই রাস্তাঘাটের নির্দেশনা দেওয়া কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেতে সহায়তা করে ম্যাপিং অ্যাপ।

রাইড শেয়ারিং অ্যাপ : যাত্রী ও চালক উভয়ই যেন উভয়ের অবস্থান দেখতে পারেন এবং চালক যেন সহজেই যাত্রীর অবস্থান দেখে তার কাছে গিয়ে হাজির হতে পারেন সেজন্য এ ধরনের অ্যাপ লোকেশন ডাটা নিয়ে থাকে।

ফিটনেস : এনডোমন্ডো কিংবা এ ধরনের অন্যান্য ফিটনেস অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর হাঁটা এবং দৌড়ানো সংক্রান্ত তথ্যের সঠিক হিসাব দিতে লোকেশন ব্যবহার করে থাকে।

সোশ্যাল : কোনো স্থানে গিয়ে চেকইন দেওয়া কিংবা কোনো জায়গা ট্যাগ দেওয়ার কাজটি সহজ করে দিতে লোকেশন ডাটা ব্যবহার করে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তবে লোকেশন অ্যাকসেস না দিয়েও কিন্তু এ কাজটি করা যায়।

শপিং : বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ রয়েছে যেগুলো অবস্থানে ভিত্তিতে শপিং কিংবা রিটেইল স্টোরের খোঁজ দিয়ে থাকে। আশপাশের বিভিন্ন দোকানের খোঁজ দেওয়ার জন্য এ অ্যাপগুলো লোকেশন জেনে নেয়।

ক্যামেরা : জিওট্যাগিং নামে একটি ফিচার অনেক স্মার্টফোনের ক্যামেরাতেই রয়েছে। এর মাধ্যমে একটি ছবি তোলা হলে সে ছবির বিস্তারিত তথ্যে ঠিক কোনো জায়গায় ছবি তোলা হয়েছে তা যুক্ত হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে কখনো প্রয়োজন হলেও সহজেই জেনে নেওয়া যায় ঠিক কোথায় ছবিটি তোলা হয়েছিল। এর জন্য লোকেশন অ্যাকসেস নিয়ে থাকে ক্যামেরা অ্যাপ।

গেমস : গেমসের জন্য সাধারণত লোকেশন ডাটার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে পোকেমন গো কিংবা এ জাতীয় কিছু গেম লোকেশন নির্ভর হওয়ায় এগুলোও লোকেশন অ্যাকসেস নেয়।

কোন অ্যাপের লোকেশন জানা প্রয়োজন?

ইতোমধ্যেই আপনি জেনে গেছেন কোন অ্যাপগুলোর জন্য লোকেশন জানা সত্যিই প্রয়োজন। তবে লোকেশন জানতে হলেই যে জিপিএস ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে তেমনটি কিন্তু না। চাইলেই বেশিরভাগ অ্যাপে ম্যানুয়ালি লোকেশনের তথ্য (শহর, জিপ কোড) প্রদান করা যায়। এর মাধ্যমে অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর একেবারে নিখুঁত অবস্থান জানার সুযোগ পায় না।

লোকেশন বন্ধ রাখলেই কি নিরাপদ থাকা যাবে?

অনেকেই মনে করে থাকেন জিপিএস বন্ধ করে রাখলেই হয়তো অ্যাপগুলো আর লোকেশন জানতে পারবে না। এটি কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা। ইন্টারনেটে যুক্ত থাকার মাধ্যমেই কিন্তু আমরা আমাদের সম্ভাব্য অবস্থান সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি। আইপি ঠিকানা ব্যবহার করে সহজেই আমাদের অবস্থান বের করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে একেবারে যথাযথ অবস্থান জানার সুযোগ নেই। এর বাইরে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান নির্ণয় করে নেয় অনেক অ্যাপ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!