• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরখাস্ত এসআই রতনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬, ০২:৪৫ পিএম
বরখাস্ত এসআই রতনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের

সোনালীনিউজ ডেস্ক
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার রাতে ওই ছাত্রীকে হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে এরই মধ্যে আদাবর থানার এসআই রতন কুমার সাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে আজ সোমবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদের আদালতে মামলা করতে যান ওই ছাত্রী। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
আশা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ফারহানা আক্তারের, রবিবার বিকেলে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে বই কিনতে শিয়া মসজিদের দিকে রিকশাযোগে যাচ্ছিলেন। এ সময় মসজিদের বিপরীতে থাকা আদাবর থানার এসআই রতন কুমারসহ পুলিশের তিন সদস্য তাকে জোর করে রিকশা থেকে নামান। এরপর তার কাছে ইয়াবা আছে কি না জানতে চান ওই দারোগা। এতে ফারহানা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। একপর্যায়ে শিয়া মসজিদের বিপরীতে একটি ইলেকট্রিকের দোকানে নিয়ে যান তাকে। সেখানে নিয়ে নানা অনৈতিক প্রস্তাবও দেন এসআই রতন।
ফারহানা অভিযোগ করেন, ওই দারোগাকে তার পরিচয়পত্র দেখানোর পরও বারবার ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন রতন। পরে ফারহানা রতনকে বলেন, স্থানীয় লোকদের সামনে তার ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে এবং প্রয়োজনে থানায় যাবার কথা বলেন তিনি। কিন্তু তার এ প্রস্তাবে রাজি হননি রতন। এ সময় রতন গর্ব করে ফারহানাকে বলেন, আমার কাছে ওসি, ডিসি কিছুই না, কারও কাছে নালিশ করেও কোনো লাভ নেই। তবে কোনো মিডিয়াকে এ বিষয়টা না জানানোর অনুরোধ জানান ওই দারোগা।
এর আগে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ ওঠার পর এসআই রতনকে গতকাল রাতে প্রত্যাহার করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর আজ রতনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে অভিযোগের বিষয়ে রতন কুমার দাবি করেন, ওই ছাত্রীর স্বামী যুবদলের একজন নেতা। তিনি গত বছর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু মামলার কাগজপত্রে তিনি যে ঠিকানা দিয়েছেন, তা ভুল ছিল। এরপর গতকাল টহল ডিউটি পালনের সময় ওই ছাত্রীকে থামিয়ে তাঁর স্বামীর কথা জানতে চান তিনি।
সোনালীনিউজ/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!