• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
শেষ পর্ব

আবাসন সংকটে ধুঁকছে ভিক্টোরিয়া কলেজ


বিল্লাল হোসেন রাজু, কুমিল্লা জুন ৬, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম
আবাসন সংকটে ধুঁকছে ভিক্টোরিয়া কলেজ

কুমিল্লা : শতবর্ষের ঐতিহ্য লালতি বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। কলেজটিতে এখন আবাসন সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

ভিক্টোরিয়া কলেজ  ১৯৮৪-১৯৮৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মর্যাদা লাভ করে। কলেজটির ডিগ্রি ও উচ্চমাধ্যমিক শাখা ২৯ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে কলেজে  ২২ হাজার ৪শ ৬৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এরমধ্যে আবাসনের  সুবিধা পাচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী ।

জানা যায়, কলেজের পাঁচটি আবাসিক হল থাকলেও  ২টি হল জরাজীর্ণ ও বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় বন্ধ রয়েছে।  উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্রীদের কোনো আবাসনব্যবস্থা  না থাকায় তাদের চরম র্দূভোগ  পোহাতে হচ্ছে ।  

ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখায় দুটি ছাত্রাবাস রয়েছে। ছাত্রদের জন্য কবি নজরুল ইসলাম হল। যেখানে আসন সংখ্যা ৬৩৫। ছাত্রীদের জন্য নবাব ফয়জুন্নেসা হল। যার আসন সংখ্যা ৪০০। এসব ছাত্রাবাস দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ছাদের অনেক  স্থানে চুইয়ে পানি পড়ে। অধিকাংশ দেয়ালের আস্তর খসে পড়ছে।

উচ্চমাধ্যমিক শাখার জন্য নিউ হোস্টেলে চারটি ভবনের মধ্যে একতলা বিশিষ্ট তিনটি ভবনই পরিত্যক্ত হয়েছে। এর পাশেই চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে গাদাগাদি করে থাকছে  প্রায় ২৮০ ছাত্র। অপদিকে নগরীর দক্ষিণ চর্থায় শেরেবাংলা ছাত্রী নিবাসটিও  প্রায় দুই যুগের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে।
 
কলেজে বর্তমানে শিক্ষা ও আবাসান সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত  আসন বরাদ্দ না থাকায়  তাদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এ অবস্থায়  ছাত্রীদের বেশ হিমশিত খেতে হয়।

কবি নজরুল ইসলাম ও নিউ হোস্টেলের হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানায়, এখানে থাকতে তাদের বেশ কষ্ট হয় । প্রায় সময় খাওয়ার প্লেটে দেয়ালের চুন খসে পড়ছে। চুন পড়ে জামা কাপড়  ও বিছানা  ময়লা হয়ে যায়। সবকক্ষগুলোই জরাজীর্ণ ও স্যাঁতসেঁতে।

জামিল, সজিবের মত হলে থাকা অনেকে  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশির ভাগ বাথরুম ও টয়লেটের দরজা নেই। শিক্ষার্থীর তুলনায় বাথরুম ও টয়লেট স্বল্পতার কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে গোসল করতে হয় । একইভাবে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে হয়। এতে করে আমাদের পড়া-শোনা অনেক ক্ষতি হয়। নিউ হোস্টেলের রাবিক ও সাগরের মত কয়েকজন শিক্ষার্থী  অতিদ্রুত সময়ে মধ্যে আবাসনের সমস্যা সমাধান করে পড়া শোনার পরিবেশ তৈরী করে দেওয়ার  জন্য কলেজ প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।  

এ ব্যাপারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবু তাহের বলেন, আবাসনসংকটের সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে কলেজের ধর্মপুর ডিগ্রি শাখায় ছাত্রীদের জন্য আরো একটি আবাসিক হল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে এবং উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীদের জন্য দক্ষিণ চর্থায় অবস্থিত শেরেবাংলা আবাসিক হল দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!