• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ওড়িশায় সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে হাঁটলেন বাবা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৬, ১১:২৯ এএম
এবার ওড়িশায় সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে হাঁটলেন বাবা

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কালাহান্ডিতে স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে দানা মাঝির হেঁটে চলার দৃশ্যের রেশ কাটতে না কাটতেই সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে পথ হাঁটলেন বাবা। এবারও সেই ওড়িশায়। মালকানগিরিতে অমানবিকতার আরেক নজিরের সাক্ষী থাকল বিশ্ব।

মিতালি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সাত বছর বয়সি বর্ষা খেমুডু। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মালকানগিরি জেলা হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। অসুস্থ কন্যাকে নিয়ে মালকানগিরির উদ্দেশে রওনা হন বর্ষার বাবা দীনবন্ধু। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মৃত্যু হয় বর্ষার। তা জানার সঙ্গে সঙ্গে মাঝপথেই দীনবন্ধুদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেন চালক।

সাত বছরের সদ্যমৃত কন্যার মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে হাঁটতে থাকেন দীনবন্ধু এবং তার স্ত্রী। স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাদের ওই অবস্থায় দেখে পাশে এসে দাঁড়ান। স্থানীয় বিডিও’র হস্তক্ষেপে দ্রুত আরেকটি গাড়িতে তাদের হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়।

মালকানগিরির জেলা কালেক্টর কে সুধাকৃষ্ণন চক্রবর্তী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অফিসার উদয়শঙ্কর মিশ্রকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সুধাকৃষ্ণন পরে বলেন, ‘এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি ও ফৌজদারি অপরাধ। ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক এবং উপস্থিত সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাশাপাশি, ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মালকানগিরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীন পট্টনায়ক সরকারের নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় তফশিলি বিষয়ক মন্ত্রী জুয়াল ওরাম বলেন, ‘ওড়িশা এবং গোটা ভারতের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। তফশিলিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার যে ব্যর্থ, তা আবার প্রমাণিত হল।’

দানা মাঝির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের বরাদ্দ টাকা ওড়িশা সরকারের ঠিকভাবে খরচ করা উচিত।’ 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতে, দানা মাঝির ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যেত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!