• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘কাউয়া-ফার্মের মুরগি’ নিষিদ্ধ


হৃদয় আজিজ এপ্রিল ১৯, ২০১৭, ০৪:৪১ পিএম
‘কাউয়া-ফার্মের মুরগি’ নিষিদ্ধ

ঢাকা: নিষিদ্ধ করা হলো ‘কাউয়া’ ও ‘ফার্মের মুরগি’র অনুপ্রবেশ। কেন্দ্রীয় অনুমোদন ছাড়া নতুন কাউকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, নতুন সদস্যের ক্ষেত্রে দলের গাইডলাইন অনুসরণ করে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। আর অন্য কোনো দল থেকে কেউ আসতে চাইলে স্থানীয়ভাবে যাচাই বাছাই করতে হবে। এরপর সুপারিশ পাঠাতে হবে কেন্দ্রে। সেখান থেকে অনুমতি নিতে হবে।

দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোটা দেশের নেতাকর্মীদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির অনুপ্রবেশ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্ক চলে আসছে। মাঠপর্যায়ের ত্যাগী নেতাদের কেউ কেউ বলছেন, বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া লোকজন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা দলে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। এদের কারণে ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।

দলের ভেতরের এই বাস্তবতায় গেল ২২ মার্চ সিলেটে নামের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জুড়ে দিয়ে গজিয়ে ওঠা নানা সংগঠনগুলোর বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও রাজনীতির নামে দোকান বন্ধের নির্দেশ দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি বলেন, ‘প্রচার লীগ, তরুণ লীগ, কর্মজীবী লীগ, ডিজিটাল লীগ, হাইব্রিড লীগ আছে। কথা হাছা, সংগঠনে কাউয়া ঢুকছে। জায়গায় জায়গায় কাউয়া আছে।’

এরপর গত ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় ওবায়দুল কাদের আবার বলেন, দলের ভেতরে শুধু কাউয়া নয়, ফার্মের মুরগি ঢুকেছে।’ তিনি বলেন, ‘সিলেটে কাউয়া বলেছিলাম, এখানে কাউয়া বলবো না। তবে এখানেও মনে হয় ফার্মের মুরগি ঢুকে গেছে। দেশি মুরগি দরকার, ফার্মের মুরগি নয়। ফার্মের মুরগি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।’

শুধু প্রতিপক্ষ বিএনপিরই নয়, ক্ষমতাসীন দলের সম্পূর্ণ বিপরীত ধারার রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী থেকেও মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটেছিল। এসব ঘটনা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারও করা হয। এনিয়ে দলটিকে সমালোচনা তুমুল মোকাবিলা করতে হয়।

তৃণমূলের অভিযোগ, অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের এমপি এবং দল পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। সেই পটভূমিতে অন্য দল থেকে আসা নতুন মুখের সুবিধাবাদীরা ‘স্বজাতীয়’ বলয় তৈরির সুযোগ পাচ্ছে। আর এসব কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ত্যাগী ও মূলধারার নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘দলে কাউকে নেয়ার ক্ষেত্রে দলের গাইডলাইন অনুসরণ করে কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। অন্য দল থেকে কেউ আসতে চাইলে স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করার পর কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে তারপর তাকে নিতে হবে। কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্দেশনা সারাদেশের নেতাকর্মীদের পাঠানো হয়েছে।’

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!