• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিরস্মরণীয় বঙ্গবন্ধু


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৬, ২০১৭, ০৭:৫৫ পিএম
চিরস্মরণীয় বঙ্গবন্ধু

ঢাকা : শোকাবহ আগস্ট মাসের আজ ষষ্ঠ দিন। এই আগস্ট মাসটি বাঙ্গালি জাতির জীবনে শুধু শোকেরই নয় এটি একটি চরম অভিশপ্ত মাসও বটে। কেননা এ মাসেই ঘটেছিল বাঙ্গালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলঙ্কজনক ঘটনাটি।

ঘাতকদের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হয়েছেন। বিদেশে থাকায় সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আজকের জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা। দেশে থাকলে তাদেরও যে জীবন দিতে হতো- এতে কোনই সন্দেহ নেই।

বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা অসহায়ের মত নির্বাসিত জীবন কাটান। অতপর বাংলার মানুষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮১ সালের মে মাসে দেশে ফিরে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তার পিছু ছাড়ে না। এর পরও বার বার তাকে হত্যার চেষ্টা চলতে থাকে।

সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনার এক সমাবেশে চলে আরেকটি নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। মূলত শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই ঘাতকরা ওই সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু গ্রেনেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি আবারো প্রাণে রক্ষা পান। তবে নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড প্রাণ সংহার করে আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মীর। তাই বর্ষ পরিক্রমায় আগস্ট এলেই সেই রক্তাক্ত স্মৃতিগুলো দেশবাসীর মানস পটে ভেসে ওঠে।

অতীত পর্যালোচনা করেও দেখা যায়, বাংলার ইতিহাসে ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা অতি প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। ১৭৫৭ সালে ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। তৎকালীন বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে একদল বিশ্বাসঘাতক নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্যদিয়ে। এই ঘটনার দীর্ঘ ২১৪ বছর পর আবার ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। কিন্তু এই স্বাধীন বাংলাদেশেই মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয় দেশটির জাতির পিতাকে। এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাসের চাকাকে পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে। এর পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত সেই হত্যাকা­ের বিচার ঠেকাতে জাতীয় সংসদে তখন কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বরং তারাই নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা আস্ফালন করে বলেছিল, পৃথিবীতে তাদের বিচার করার কারো সাধ্য নেই। কিন্তু নিয়তির কী নির্মম পরিহাস ৭৫’র ১৫ আগস্টের ঘাতকদেরও ফাঁসি হলো এই বাংলার মাটিতেই।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!