• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক

জেএসসি পরীক্ষার নম্বর জানতে আরো অপেক্ষা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৯, ২০১৮, ০২:২৮ পিএম
জেএসসি পরীক্ষার নম্বর জানতে আরো অপেক্ষা

ঢাকা : না, রোববারও হলো না। সিদ্ধান্তটি জানতে আরো চার দিন অপেক্ষা করতে হবে। চলতি বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার নম্বর ও বিষয় কমানো নিয়ে এভাবেই কালক্ষেপণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা আরো বাড়ল।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ মে) এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রোববার (২৭ মে) জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভা হলেও এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নম্বর ও বিষয় কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, সে ক্ষেত্রে সিলেবাসও কমবে।

তিনি বলেন, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হলে যদি ১৫টি প্রশ্ন পড়তে হয়, সেখানে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলে হয়তো ১০টি প্রশ্ন পড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, আসন্ন জেএসসি ও জেডিসিতে এমসিকিউ থাকছে। নম্বর ও বিষয় এবং সিলেবাসে পরিবর্তন আসছে কি না সে বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিতব্য এনসিসিসির সভায় সিদ্ধান্ত হবে।   

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পাঠ্যবই, কারিকুলাম ও সিলেবাস এবং পাবলিক পরীক্ষায় যেকোনো পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার এনসিসিসির। পদাধিকার বলে শিক্ষা সচিব এই কমিটির সভাপতি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্য (শিক্ষাক্রম), মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং সবগুলো শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন।  

এর আগে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা থেকে সাতটি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। এ প্রস্তাবের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একমত। বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

এখন দুই পত্রের জন্য দুটি পরীক্ষা হয়, তাতে নম্বর থাকে ১৫০। প্রস্তাব অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের নম্বরেই হবে। গত ৮ মে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা এই দুই পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন। এরই মধ্যে শিক্ষাবর্ষের প্রায় পাঁচ মাস জলে যাওয়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!