• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেক্সটবুক নির্ভর প্রস্তুতি ভর্তিচ্ছুদের এগিয়ে রাখবে


জাবি প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮, ০৫:৪৩ পিএম
টেক্সটবুক নির্ভর প্রস্তুতি ভর্তিচ্ছুদের এগিয়ে রাখবে

অধ্যাপক নুরুল আলম

জাবি : আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৮-২০১৯ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নামক ভর্তিযুদ্ধ। ভর্তিচ্ছুদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন জাবির প্রো-ভিসি  (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম। সাক্ষাৎকার  নিয়েছেন আমাদের জাবি প্রতিনিধি শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন

প্রশ্ন : একজন শিক্ষার্থী কেন ভর্তি হতে জাহাঙ্গীরনগরকে বেছে নিবে?

অধ্যাপক নুরুল আলম :  শিক্ষার্থী অনুপাতে আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষক আছে। শিক্ষকদের বেশির ভাগ শিক্ষকই ক্যাম্পাসে থাকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রায় সাক্ষাৎ হয়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট নেই বললেই চলে। জাহাঙ্গীনগর বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম বছর হয়ত হলে সিট পেতে কষ্ট হবে। কিন্তু পরবর্তী বছর থেকে সবাই হলে সিট পেয়ে যায়। সবুজে বেষ্টিত এই সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার একটা চমৎকার পরিবেশ। তাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রশ্ন : জাবিতে বিভাগভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা কী থাকছে?

অধ্যাপক নুরুল আলম :  না এবার আমাদের বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা হচ্ছে না। অনুষদভিত্তিক পরীক্ষা হবে। তবে কলা ও মানবিক অনুষদে বিভাগভিত্তিক আলাদা প্রশ্ন থাকবে। তবে চারুকলা এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের জন্য যৌথভাবে আলাদা পরীক্ষা হবে।

প্রশ্ন : একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি প্রস্তুতিতে কোন বিষয়ে জোর দেয়া উচিত?

অধ্যাপক নুরুল আলম : আমি মনে করি ইন্টামেডিয়েটের সিলেবাস ভালোভাবে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি হয়ে যাবে। ইন্টামেডিয়েটের সিলেবাসের বাইরে হয়ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন থাকে কিন্তু তা মোটামুটি সবার জানা শোনা থেকে আসবে।

প্রশ্ন : কীভাবে প্রস্তুতি নিতে আপনি পরামর্শ দিবেন?

অধ্যাপক নুরুল আলম : আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা সমস্যা হচ্ছে কোচিং সেন্টারে পেছনে দৌঁড়ানো। সারাদিন কোচিং সেন্টারের পেছনে না ছুটে সে সময়টা বাসায় বসে ভালোভাবে টেক্সট বই পড়ার পরামর্শ দিব আমি। তাছাড়া প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য রুটিন করে প্রতিদিন ১০/১২ ঘণ্টা পড়ালেখা করা উচিত। অনেকে আবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য কোচিং সেন্টারের ফাঁদে পা দেয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার যে পদ্ধতি প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

প্রশ্ন : ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

অধ্যাপক নুরুল আলম : পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাছাড়া আমাদের প্রক্টরিয়াল বডিও খুবই তৎপর। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে ইনশাল্লাহ। আমি বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব যারা পরীক্ষা দিতে আসবে তারা হলে থাকতে চাইলে যেন থাকার একটু ব্যবস্থা করে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!