• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তামিমের দেশপ্রেম, মুশফিকের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮, ০৯:৪৫ পিএম
তামিমের দেশপ্রেম, মুশফিকের সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি

ফাইল ছবি

ঢাকা: ৪৭তম ওভারে ওভারে ২২৯ রানে থেমে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ইনিংস। যদিও তখনও একটা উইকেট ছিল। কিন্তু বাঁ-হাতের কব্জিতে আঘাত পেয়ে আগেই অবসর নিয়েছিলে তামিম ইকবাল। যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ নিয়ে ফিরেছিলেন এই ওপেনার। মাঠে নামারই কথা নয়। কিন্তু দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি নেমে গেলেন। এবং এক হাত দিয়েই খেললেন তামিম। সঙ্গ দিলেন মুশফিককে। আর তাতেই বাংলাদেশ পেয়ে গেল লড়াই করার মতো পুঁজি।  

এদিন এক মালিঙ্গাকে সামলাতে হিমসিম খেয়েছে বাংলাদেশর ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা মোটেই ভাল করতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন শ্রীলঙ্কান পেসার অভিজ্ঞ পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।

প্রথম চার বল থেকে ১ রান দেন মালিঙ্গা। ওভারের পঞ্চম ও শেষ বলে বাংলাদেশ ওপেনার লিটন ও তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসানকে শুন্য হাতে ফিরে দেন দীর্ঘ দিন লংকান দলে ফেরা মালিঙ্গা। তার আউট-সুইং না বুঝে স্লিপে ক্যাচ দেন মিথুন। আর মালিঙ্গার ইন-সুইংয়ের কাছে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন সাকিব।

এরপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সুরাঙ্গা লাকমলের করা শেষ বলে বাঁ-হাতের কব্জিতে আঘাত পান তামিম। এরপর প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২ রান নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন দেশসেরা ওপেনার। এরপর বাংলাদেশ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারে কি না, তা নিয়ে সংশয় জেগেছিল। তবে চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দারুন প্রতিরোধ গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ১৭.৩ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে তালেন তারা। প্রথমে মিঠুন দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন। এরপর মুশফিক। তুলে নিয়েছেন ৩০তম ফিফটি।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সুরাঙ্গা লাকমলের করা শেষ বলে বাঁ-হাতের কব্জিতে আঘাত পান তামিম। এরপর প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২ রান নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন দেশসেরা ওপেনার। এরপর বাংলাদেশ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারে কি না, তা নিয়ে সংশয় জেগেছিল। তবে চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে দারুন প্রতিরোধ গড়েন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম। ১৭.৩ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে তালেন তারা। প্রথমে মিঠুন দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন। এরপর মুশফিক। তুলে নিয়েছেন ৩০তম ফিফটি।

এরপর ১৩১ রানের এই জুটি ভেঙেছে মিঠুনের বিদায়ে। নতুন নেমে মাহমুদউল্লাহও ফিরে গেছেন ১ রান করে। তবে ক্যারিয়ারের ৩০ তম ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করেছেন মুশফিক। ১২৪ বলে এশিয়া কাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এই উইকেটরক্ষ ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। এরআগে ১১৭ রানের এক ইনিংস আছে তার। যা এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। মুশফিক এবার সেটা ছাড়িয়ে গেছেন। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে আউট হওয়ার আগে ১৫০ বলে ১৪৪ রান করেন তিনি। তবে এটি সম্ভব হয়েছে আহত তামিমের দেশপ্রেমের বদৌলতে।  

৪৭তম ওভারে ওভারে ২২৯ রানে থেমে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ইনিংস। যদিও তখনও একটা উইকেট ছিল। কিন্তু বাঁ-হাতের কব্জিতে আঘাত পেয়ে আগেই অবসর নিয়েছিলে তামিম ইকবাল। যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। সেখান থেকে ব্যান্ডেজ নিয়ে ফিরেছিলেন এই ওপেনার। মাঠে নামারই কথা নয়। কিন্তু দেশপ্রেমের উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি নেমে গেলেন। এবং এক হাত দিয়েই খেললেন তামিম। সঙ্গ দিলেন মুশফিককে।

দলীয় ২২৯ রান ও ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলে শেষ ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজ আউট হলে, হাতের ব্যাথা নিয়ে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন তামিম। শুধুমাত্র উইকেটে টিকে থেকে মুশফিককে সঙ্গ দেন তামিম। এই সুযোগে আরও ৩২ রান এনে দেন মুশফিক। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে লং-অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশি আউট হলে তিন বল বাকি থাকতে ২৬১ রানে বাংলাদেশ ইনিংস।

১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৫০ বলে ১৪৪ রান করে আউট হন মুশফিক। এটিই তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে ২ রান নিয়ে দ্বিতীয়বারের ব্যাট হাতে ঐ স্কোরেই অপরাজিত থাকেন তামিম। শ্রীলঙ্কার পক্ষে মালিঙ্গা ১০ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন।

শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন লাল সবুজ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!