• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানের পরাজয়ে বাংলাদেশের স্বস্তি


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ১৯, ২০১৭, ০৫:১০ পিএম
পাকিস্তানের পরাজয়ে বাংলাদেশের স্বস্তি

ঢাকা: অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যেকার ওয়ানডে সিরিজ ঘিরে অস্বস্তিতে ছিলো টাইগাররা। অবশেষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। এই ম্যাচটি জিতলেই বাংলাদেশকে হটিয়ে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে চলে যেত পাকিস্তান। মোহাম্মাদ হাফিজের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে জিতে নিয়েছে অজিরা। ফলে রেটিং পয়েন্টে বাংলাদেশের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়েই থাকল পাকিস্তান।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সমতায় ফিরেছিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) মেলবোর্নের ঘুরে দাঁড়ানো পাকিস্তানকে আবার বাস্তবতা বোঝাল অস্ট্রেলিয়া। পার্থে তৃতীয় ওয়ানডেতে তারা স্বাগতিকদের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে। আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের অষ্টম সেঞ্চুরির কল্যাণে ৩০ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের লক্ষ্য টপকে গেছে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ে তারা পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ  হবে ২২ জানুয়ারী, সিডনিতে।

এদিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়াকে বিপদেই ফেলে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির ও জুনায়েদ খান। ৪৫ রানের মধ্যে ফিরে যান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা। এরমধ্যে ৩৫ রানই আসে ওয়ার্নারের ব্যাট থেকে। এরপর স্মিথ তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত পিটার হ্যান্ডসকম্বকে নিয়ে ১৮৩ রান যোগ করলে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
 
২২৮ রানে হ্যান্ডসকম্ব ফিরে  গেলেও দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। তার আগে হ্যান্ডসকম্ব ৮৪ বলে ছয় চারের সাহায্যে ৮২ রান করেন। আর ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া স্মিথ অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে। ১০৪ বলে ১১ চার আর এক ছক্কায় তিনি এই ইনিংসটি সাজান। এছাড়া ট্রেভিস করেন অপরাজিত ২৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে ১টি করে উইকেট তুলে নেন আমির, জুনায়েদ ও হাসান আলী।

বৃহস্পতিবার ওয়াকার গতিময় পিচে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তার কারণে বোলিং নেওয়ার পুরো ফায়দা নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। যদিও ৩৬ রানে অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে শুরুটা দারুন করে দিয়ে যান জস হ্যাজেলউড।

তারপর পাকিস্তানের রানের চাকাকে সচল রাখেন আরেক ওপেনার শারজিল খান ও বাবর আজম। দুজনই  ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৪৭ বলে ৫০ করেছেন শারজিল। ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেছেন বাবর। তার ৮৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০০ বলে চার বাউন্ডারী আর এক ছক্কায়।

পাকিস্তানের ২৬৩ রানের ইনিংসে অবদান আছে শোয়েব মালিক ও উমর আকমলেরও। দুজনই ৪৩ রান করেছেন। শোয়েব ৪১ আর আকমল এই রান করতে খেলেছেন ৫১ বল। হ্যাজেলউড ৩২ রানে ৩টি ও ৬৫ রানে ২টি উইকেট পেয়েছেন ট্রাভিস হেড।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!