প্রাথমিক পর্যায়েও প্রশ্নপত্র ফাঁস

বরগুনা: এবার বরগুনায় শুরু হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা। একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসে ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। অবশ্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

সোমবার সন্ধায় বরগুনায় প্রথমে ৪র্থ শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পরে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে। রাত ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ  বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তবে রাত গভীর হলে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন শ্রেণীর একাধিক বিষয়ের একাধিক প্রশ্নপত্র। আর মঙ্গলবার ফাঁস হওয়া সেই প্রশ্নেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়গুলোতে। আর এ কারণে ক্ষোভ বিরাজ করছে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। সারা বছর লেখা পড়া করে পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্ন পত্র ফাঁস হওয়ায় হতাশ তারা।

তবে এ ঘটনায় জড়িতদের বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দাবি বরগুনা সদরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমরা তদন্তের কাজ এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। আমরা দোষীদের খুঁজে বের করা চেষ্টা করছি।

আর অন্যান্ন শ্রেণির একাধিক বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা জানতেননা বলে জানালেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছি। আমরা মিলিয়ে দেখেছি। মিল পাওয়া গেছে।

তবে গভীর রাতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হলে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এটার প্রাথমকি সত্যতা মিললে ওই পরীক্ষাগুলো নতুন প্রশ্নপত্রে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

গত কয়েকদিন আগে বরগুনা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম ও নবম শ্রেণীর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ফাঁস হয়। পরে নতুন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া হয়। আর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রশ্ন ফাঁস হলে বরগুনা সদর উপজেলার ২৪৮টি বিদ্যালয়ের মঙ্গলবারের চতুর্থ শ্রেণীর ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন