• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘প্রি-অ্যাকটিভেট’ সিম বন্ধে অভিযান শিগগিরই


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ১২, ২০১৬, ০৮:৪০ পিএম
‘প্রি-অ্যাকটিভেট’ সিম বন্ধে অভিযান শিগগিরই

গ্রাহকদের অগোচরে চালু থাকা ‘প্রি-অ্যাকটিভেট’ সিম ও রিম ব্যবহার বন্ধ করতে শিগগিরই বিশেষ অভিযান চালাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই অভিযানে র‌্যাব ও পুলিশকেও সঙ্গে চায় তারা।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়ে রোববার (১২ জুন) চিঠি দিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বিকেলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সই করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এম রায়হান আখতার।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের পর থেকে সব অনিবন্ধিত সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার জন্য মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন ব্যতীত কোনো মোবাইল সিম-রিম ক্রয়-বিক্রয় বা ব্যবহারের আইনগত সুযোগ নেই।

ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন/পুনর্নিবন্ধনের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভেরিফায়েড সিম-রিমের মাধ্যমে ১ জুন থেকে মোবাইল ফোন–সংশ্লিষ্ট অপরাধ তদন্ত করা হচ্ছে। এ অপরাধ তদন্তের সুফল সম্পর্কে আগামী ১ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানাতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা মন্ত্রিসভা কমিটির পঞ্চম সভায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অবৈধ অর্থ লেনদেন ও অপরাধ সংগঠন মোকাবিলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে যাচাই করে সিম-রিম নিবন্ধন চার মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন শুরু করা হয়। ৩১ মে পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ১১ কোটি ৬০ লাখ সংযোগ জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে যাচাই করে পুনর্নিবন্ধন করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!