• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি কবে, কোথায় মিষ্টি খেয়েছে?


ফেসবুক থেকে ডেস্ক ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭, ০১:২১ পিএম
বিএনপি কবে, কোথায় মিষ্টি খেয়েছে?

আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা

ঢাকা: চলতি বছরের শেষের দিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচিত একটি ঘটনা হলো সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়। এই রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিদেশে ছুটিতে গেছেন, আবার কেউ বা বলছেন তাকে বাধ্যতামূলকভাবে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এসব নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুমীন ফারহানা গত ১৯ আগস্ট তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে- ‘বহুদিন পর আওয়ামী লীগ আয়নায় নিজের প্রতিকৃতি দেখেছে’ শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সোনালীনিউজের পাঠকদের জন্য পরিমার্জন করে পোস্টটি তুলে ধরা হলো- 

‘বিএনপি মিষ্টি খেয়েছে, মিষ্টি খেয়েছে- এই এক ভাঙা রেকর্ড শুনছি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ঘোষণার পর থেকেই। কোথায়, কবে, কারা, কেন মিষ্টি খেল তা অবশ্য উনারা স্পষ্ট করেন নাই। রায় ঘোষণার পর থেকে আজ (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুইজন সিনিয়র আইনজীবীর সাক্ষাৎকার দেশের শীর্ষ একটি দৈনিকে ছাপা হয়েছে। আইনমন্ত্রীর বক্তব্য আমরা দেখেছি। পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি তারা একটুও পরিষ্কার করতে পারেন নাই রায়ের কোন্‌ অংশটি নিয়ে তাদের আপত্তি।

বলা হয়েছে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এসেছে এবং ইতিহাস বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করা হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক বলতে কি বুঝিয়েছেন আমি জানি না। কারণ রায়ের শুরুতেই প্রধান বিচারপতির একটি ব্যাখ্যা আছে। 

ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা সেটাই এই আপিলের বিচার্য উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন ‘আপাতদৃষ্টিতে এটি খুবই নিরীহ, সোজাসাপ্টা প্রশ্ন। কিন্তু এর উত্তরটা মোটেও অতটা সোজা নয়। বরং এই প্রশ্নের উত্তরে যুক্ত আছে সাধারণ ভাবে আমাদের সাত যুগ (১৯৪৭-২০১৬) এবং বিশেষভাবে গত সাড়ে চার যুগের (১৯৭১-২০১৬) রাজনৈতিক ইতিহাসের কতগুলো গভীর এবং জটিল ইস্যু এবং ঘটনাবলী।’

অর্থাৎ ষোড়শ সংশোধনী কেন সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রাসঙ্গিক ভাবেই আমাদের সামগ্রিক রাজনৈতিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির দিকে আলোকপাত করা হয়েছে।

আর রায়ের নিবিড় পর্যালোচনায় দেখা যায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকেই চিত্রিত করেছেন। ষোড়শ সংশোধনীর ৭৯৯ পৃষ্ঠার রায়ে দেখা যায়, শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণে মোট ১১ বার এসেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক ৫ বারই উল্লিখিত হয়েছে প্রধান বিচারপতির অংশে। 

বঙ্গবন্ধু শব্দটি এসেছে মোট ৯ বার। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি নিজেই উল্লেখ করেছেন ৩ বার (পৃষ্ঠা ৩০, ১৪০ ও ২২৬)। তিনি ৩০, ৫৪ ও ২০০ নম্বর পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছেন সংসদ সদস্যদের অপরিপক্ব বলা হয়েছে যেখানে কিনা বলা হয়েছে সংসদীয় গণতন্ত্র অপরিপক্ব।

মূল সমস্যা অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বা ইতিহাস বিকৃতি নয়। মূল সমস্যা হলো বহুদিন পর আওয়ামী লীগ আয়নায় নিজের প্রতিকৃতি দেখেছে। প্রতিকৃতির এই বীভৎসতার জন্য তারাই দায়ী।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!