• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনি এসএমএস, অভিযোগ করলেই প্রতিকার!


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০১৭, ১২:১৭ পিএম
বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনি এসএমএস, অভিযোগ করলেই প্রতিকার!

ঢাকা : বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপরেটরদের কাছ থেকে যখন-তখন বিভিন্ন অফার সম্বলিত বিজ্ঞাপনি এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস)-এ অতীষ্ট গ্রাহকরা। গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাঝে, মধ্যরাতে ঘুমের সময় বা ভোরে হঠাৎ করে বেজে ওঠা মোবাইল ফেনে আসা এসব এসএসএস-এর আওয়াজে অধিকাংশ গ্রাহকই বিরক্ত বোধ করেন। মন্ত্রীর সতর্কবার্তা, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) নির্দেশনার পরও বন্ধ হয়নি বিরক্তিকর এসব এসএমএস।

তবে বিটিআরসি জানিয়েছে, তাদের কাছে অভিযোগ করলেই মিলবে প্রতিকার। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের শর্টকোড নম্বরে এসএমএস পাঠিয়েও এ যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

গ্রাহককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি একটি নির্দেশনা জারি করে। তারপরও বন্ধ হয়নি মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর বিভিন্ন অফারের এসএমএস পাঠানো। বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নজরে আনা হয়। ২০১৬ সালের ১৫ মে বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগেই অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু এসব বন্ধ হয়নি।’

প্রতিমন্ত্রী সেসময় অপারেটরগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘রাত ১২টার পর থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত মোবাইলে এসব এসএমএস পাঠানো যাবে না।’ তারপরও বন্ধ হয়নি এসএমএস।

সারাদিনের কথা বাদ দিলেও ‘রাত ১২টার পর থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত’ মোবাইলে এসব (বিজ্ঞাপন, প্রমোশনের অফার) এসএমএস আসে কিনা, তা জানতে চাইলে অন্তত ১০ জন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী (সব অপারেটরের গ্রাহক) জানিয়েছেন, এখনও তারা উল্লেখিত সময়েও এসএমএস পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিটিআরসির সচিব সরওয়ার আলম বলেন, ‘এসব অনাকাক্সিক্ষত এসএমএস পেয়ে যদি কেউ ক্ষুব্ধ হন তাহলে প্রতিকারের জন্য তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান বা সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে পারেন। আমরা সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করবো। এতে অপারেটর দায়ী হলে আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ২০১৫ সালের মে মাসে বিটিআরসি ‘ডিরেক্টিভস অন সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফ’ বিষয়ক একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনাতে গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। যে গ্রাহক টেলিকম অপারেটরের এসব সেবা চাইবেন না, তিনি তার প্রতিকার ওতেই চাইতে পারবেন।’

কমিশন সচিব আরও বলেন, ‘এছাড়া বিটিআরসির ওয়েবসাইটে ই-মেইল ঠিকানা দেয়া আছে, অভিযোগ বক্স রয়েছে। কেউ অভিযোগ পাঠালে কমিশনের যে ‘কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট টিম’ আছে তারা তা যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকের পক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন।’

বিটিআরসির ওয়েবসাইটের ((http://www.btrc.gov.bd/complainbox)  এই লিংকে গিয়ে অভিযোগ জানানো যাবে।

জানা গেছে, এসব যন্ত্রণাকর এসএমএস আসা বন্ধ করতে চাইলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী নিজেই সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নির্দিষ্ট নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে বা ফোন করে ওইসব এসএমএস আসা বন্ধ করতে পারবেন।

গ্রামীণফোন জানিয়েছে, তাদের কোনও গ্রাহক এসব এসএমএস পেতে না চাইলে তিনি তা ১২১ নম্বরে ফোন করে বন্ধের জন্য অনুরোধ জানাতে পারবেন। অনুরোধ জানালে গ্রামীণফোন এসব বন্ধ করে দেয়। তবে গ্রামীণফোন মনে করে, এসব গ্রাহকের কল্যাণের জন্যই।

রবি’রও এই সেবা বন্ধের সুযোগ রয়েছে। রবির গ্রাহকরা ১২৩ নম্বরে ফোন দিয়ে ডিএনডি (ডু নট ডিস্টার্ব) সেবা চালুর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। ফোন করে বলতে হবে, ‘আমি এই সেবা চাই না।’ তাহলে ওরা (মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে) সংশ্লিষ্ট ফোনদাতাকে ডিএনডি ক্যাটাগরিতে ফেলে দেবে। তখন প্রমোশনাল কোনও কিছু আর মোবাইলে আসবে না।

বাংলালিংকের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, বাংলালিংকের গ্রাহকরা এসএমএস না চাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে অফ (OFF)  লিখে ৬১২১ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে পারবেন।

এয়ারটেল গ্রাহকরা ১২৩ নম্বরে ফোন দিয়ে ডিএনডি (ডু নট ডিস্টার্ব) সেবা চালুর জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। সেবা চালু হলে বন্ধ হবে অনাকাক্সিক্ষত এসএমএস আসা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!