• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মারা গেলেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত রাজাকার মান্নান


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬, ০৪:৩৮ পিএম
মারা গেলেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত রাজাকার মান্নান

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান মারা গেছেন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তার মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে আজিজুল হক লিটন এবং ট্রাইব্যুনাল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে জেনেছি গাজী আব্দুল মান্নান মারা গেছেন।

২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। তাকেসহ এ মামলায় পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়ে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে বলে ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

একাত্তরে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যার মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে গত ৩ মে গাজী আব্দুল মান্নানসহ চার রাজাকার সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য তিন আসামি হলেন –কিশোরগঞ্জ বারের আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদ, শামসুদ্দিনের ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ এবং হাফিজউদ্দিন। এ মামলায় আমৃত্যুকারাদণ্ড পাওয়া একমাত্র আসামি হলেন আজহারুল ইসলাম।

একাত্তরে এই পাঁচ আসামি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। সে সময় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেপুর বিল, কিরাটন বিলসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে তারা যেসব মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটান, তা এ মামলার রায়ে উঠে এসেছে।

গাজী আব্দুল মান্নানের বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, গাজী আব্দুল মান্নান ১৯২৭ সালে করিমগঞ্জের চরপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। একাত্তরে স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের এলাকায় নানা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!