• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন জাহাজকে হটিয়ে দিল ইরান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ৭, ২০১৭, ০৭:৪০ পিএম
মার্কিন জাহাজকে হটিয়ে দিল ইরান

ঢাকা: মার্কিন যুদ্ধজাহাজের একটি বহরকে তার গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে ইরানের সামরিক স্পিডবোটের বাধার মুখে। যুদ্ধজাহাজগুলো হরমুজ প্রণালীতে ইরানি পানিসীমার কাছে আসলে তাদের হটিয়ে দেয় স্পিডবোটগুলো। ছোট হলেও এই স্পিডবোটগুলো একটি সাজোয়া যান।

মার্কিন নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপি-কে জানান, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কয়েকটি স্পিডবোট আমেরিকার নৌবহর ইউএসএনএস ইনভিনসিবলের ৫৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসে। রাজকীয় ব্রিটিশ নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজকে ভিন্ন দিকে যেতে বাধ্য করে। দিক পরিবতর্ন না করলে তাদের উপর হামলা করার সক্ষমতা রাখে এই যানগুলো।

গত শনিবার হরমুজ প্রণালীর কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ওই কর্মকর্তা জানান। ব্রিটিশ জাহাজগুলো মার্কিন নৌবহরের সঙ্গেই ছিল। অন্য জাহাজের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে মার্কিন ও ব্রিটিশ জাহাজগুলো তাদের গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।

ইউএসএনএস ইনভিনসিবলে অত্যাধুনিক রাডার ও অন্যান্য উন্নত ব্যবস্থা বসানো আছে। এ জাহাজ শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনা পর্যবক্ষেণ ও শণাক্ত করে। এ জাহাজ থেকে নিখুঁতভাবে কমান্ড সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানো হয়।

গত সেপ্টেম্বর মাসে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস এ ধরনের একটি অভিযোগ তুলেছিলেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আইআরজিসি’র স্পিডবোটের বাধার মুখে ইএসএস ফায়ারবোল্ট টহল জাহাজ তার গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। ওই ঘটনায় আইআরজিসি’র স্পিডবোটগুলো জাহাজের ৯১ মিটারের ভেতরে চলে এসেছিল।

এ ঘটনার পর ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন, ইরানের পানিসীমায় কোনো দেশের জাহাজের অনুপ্রবেশ বিনা জবাবে ছেড়ে দেয়ো হবে না। এছাড়া, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার নৌমহড়ার সময় ইরান কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল।

ইরানি নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যারি বলেছিলেন, কে কী করছে- এ নিয়ে ইরানের মাথা ব্যথা নেই যতক্ষণ পর্যন্ত না কেউ ইরানের পানিসীমা লঙ্ঘন করছে। সে সময় তিনি ইরানের পানসীমাকে তার দেশের জন্য রেডলাইন বলে উল্লেখ করেছিলেন।

সম্প্রতি ইরানের বন্দর কর্তৃপক্ষ পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা রক্ষা ও বিদেশি জাহাজের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর একচ্ছত্র অধিকার দিয়ে আইআইজসির সঙ্গে চুক্তি করেছে। সেই চুক্তির পরেই সামরিক বাহিনীর সাজোয়া স্পিডবোটগুলো নিয়মিত টহল দেয় সাগরে।

এই হরমুজ প্রণালী হলো ইরানের রক্ষা কবজ। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতেও পরমাণু ইস্যুতে নিজ অবস্থান থেকে বিন্দুামত্র সরেনি ইরান। তাই ছোটখাট বিষয়েও হরমুজ প্রণালীতে কঠোর হয়ে উঠে দেশটি।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!