• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জা ফখরুল প্রধান বিচারপতির মুখপাত্র


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২২, ২০১৭, ০৮:১০ পিএম
মির্জা ফখরুল প্রধান বিচারপতির মুখপাত্র

ফাইল ফটো

ঢাকা: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পরামর্শে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান বিচারপতির মুখপাত্র হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাংলা একেডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে” বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন, মনে হচ্ছে তারাই প্রধান বিচারপতির মুখপাত্র ।

তিনি বলেন, বিএনপি সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে শুধু ইস্যু খোঁজে। কিন্তু ইস্যুর পর ইস্যু মারা যায়। একটা ব্যর্থ হলেই আরেকটা ইস্যু ধরে। জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন ইস্যু নিয়ে আসে। উদ্দেশ্য, যদি একটা ফায়দা লুটা যায়। তাদের চলমান ইস্যু ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে। আদালতের রায়ের এ ইস্যু নিয়ে তারা এখন রঙ্গীন খোয়াব দেখছে। অচীরেই তাদের এই রঙ্গীন খোয়াব ভেস্তে যাবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মওদুদ সাহেব নিজের বাড়ি নিয়ে করা নিজের মামলায় হেরে বলেছিলেন বিচার বিভাগে স্বাধীনতা নেই। কিন্তু ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর সেই তিনিই বললেন বিচার বিভাগ স্বাধীনতা পেয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কি আপনারা দিয়েছেন? প্রধান বিচারপতির বাসায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে আপনারা প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু আমরা প্রধান বিচারপতিকে চাপ দিতে যাইনি। দলের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য গিয়েছি। এর আগেও তো তার বাসায় নৈশভোজে গিয়েছিলাম, তখন তো প্রশ্ন তোলেননি!

মওদুদ আহমদ এবং মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধান বিচারপতির চেম্বারের দরজায় লাথি মেরেছিলেন। আমরা এসব অপমান করিনি। লাথিও মারবো না। দল এবং সরকারের অবস্থান প্রধানমন্ত্রী সোমবার (২১ আগস্ট) তুলে ধরেছেন। সেখানে ছিলনা কোনো চাপ, ধমক। ছিল শুধু যুক্তির প্রয়োগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, মির্জা ফখরুল, মওদুদ আহমদ এবং খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর যে স্বপ্ন দেখছেন, তা স্বপ্নেই থেকে যাবে। বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকবে, আপনাদের স্বপ্নের পাকিস্তান কখনও হবেনা।

এটা পাকিস্তান নয়, এটা বাংলাদেশ। পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ২৫টি আর্থসামাজিক খাতে পিছিয়ে আছে। আমাদের যেখানে জিডিপির হার ৭.২ তাদের সেখানে ৪। আমাদের দেশে প্রায় শতভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায়, সেখানে তাদের প্রধান শহর করাচিতেই দিনে ১২ ঘন্টা বিদ্যুত থাকেনা।

বিএনপির উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রেললাইনের ওপর ধাওয়া দিয়েছিল বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এরকম নোংরা, বর্বর রাজনীতি বিএনপির পক্ষে সাঁজে। এ দলই হচ্ছে বেপরোয়া দল। কানাডার আন্তর্জাতিক আদালতে পর পর দুইবার স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। তারা জানে তাদের এই কলঙ্কিত, লুন্ঠিত অতীতের কারণে আগামী নির্বাচনে এদেশের জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা এখন ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার চোরাগলি খুঁজছে। লন্ডন, দুবাই, ব্যাংককে কি হচ্ছে সবকিছু আওয়ামী লীগ জানে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!