• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারের বিচার করতে পারবে আন্তর্জাতিক আদালত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮, ০৫:০৯ পিএম
মিয়ানমারের বিচার করতে পারবে আন্তর্জাতিক আদালত

ফাইল ফটো

ঢাকা: রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)।   

বৃহষ্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রি-ট্রায়াল চেম্বারের তিন বিচারকের প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন।

তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রি-ট্রায়াল প্যানেল চেম্বারের তিনজন বিচারকের মধ্যে দুইজন একমত পোষণ করলেও একজন ভিন্নমত দিয়েছেন।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌশলী ফাতোও বেনসুদার আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে রোহিঙ্গাদের যেভাবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে সেটির তদন্ত করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রয়েছে কিনা।

সে প্রেক্ষাপটে আইসিসি'র প্রি-ট্রায়াল চেম্বার রায় দিয়েছে যে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য না হলেও রোহিঙ্গারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের কারণে ঘটনার একটি অংশ বাংলাদেশে সংগঠিত হয়েছে।

ফলে আইসিসি মনে করছে রোম সনদ অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করার ক্ষমতা এই আদালতের রয়েছে। এখন এই রায়ের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌশলী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত জানিয়েছেন যে এ ধরনের তদন্ত একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

নতুন এবং পুরাতন মিলিয়ে ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা এখন দশ লাখের বেশি। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, লুটপাট, অপহরণ আর ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।

জাতিসংঘ শুরু থেকে সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। এক মাস আগে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশন তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও গণধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটিয়েছে। এজন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও পাঁচজন জেনারেলের বিচারের মুখোমুখি করা উচিৎ।

আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ কেভিন জন হেলার বলেন, ‘আদালতের এ সিদ্ধান্তের ফলে এর প্রসিকিউটদের জন্য ওই অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানানোর বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো।’ কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ যেমনটি ধারণা করছিলেন, আইসিসির এ সিদ্ধান্ত তারচেয়েও অনেক বেশি বিস্তৃত বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো তায়ের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলে তিনি সাড়া দেননি। একটি মেসেজ পাঠিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখন কথা বলতে পারব না।’

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!