• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যতই ষড়যন্ত্র আসুক, তাদের বিচার চলবেই


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬, ০৮:৫১ পিএম
যতই ষড়যন্ত্র আসুক, তাদের বিচার চলবেই

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরে যারা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল, তাদের কেউ রক্ষা করতে পারবে না।যতই ষড়যন্ত্র আসুক না কেন, তাদের বিচার চলবে। কারণ, এটা ন্যায়ের পথ। আর ন্যায় ও সত্যের জয় সব সময় হয়েছে, সব সময় হবেই। এটাই আমরা বিশ্বাস করি।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে এ দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তারাও সমান অপরাধী। সুতরাং তাদেরও বিচার হবে।শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। কারণ শহীদদের পথ ছিল সত্য ও সুন্দরের। সত্য ও সুন্দরের পথকে কেউ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে কিন্তু চিরতরে রুখে দিতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা সত্যের পথেই আছি, তাই যতই বাধা আসুক না কেন জয় আমাদের সুনিশ্চিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করি না, আমাকে বার বা হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু ঘাতকরা সফল হতে পারি নি। তিনি বলেন, মৃত্যু একটি স্বাভাবিক নিয়তি। কেউ তাকে অস্বীকার করতে পারে না। সুতরাং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে কেউ কিছু করতে পারবে না।

তিনি বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার পতাকা দেশদ্রোহী রাজাকার আলবদর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে, তারাও ওইসব অপরাধীদের মত সমঅপরাধী। যুদ্ধাপরাধীদের যেমন বিচার হয়েছে, এদের বিচারও বাংলার মাটিতে হবে ইনশাল্লাহ।আমি মনে করি, সময় এসে গেছে, দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে যারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, তাদের হাত ধরেই এসব স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসার সুযোগ পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে এসব রাজাকার আলবদর বাহিনীর রাজনীতে পুনর্বাসন ঘটে। পরে তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার সরকারের সময় ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী করা হয় দুই যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে। তাদের গাড়িতে তুলে দেয়া হয় ত্রিশ লাখ শহীদের আত্নত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের পতাকা।

২০০৯ সালে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বহুল প্রতিক্ষীত যুদ্ধাপরাধের বিচার কাজ শুরু হয়। অনেক সংগ্রামের পর সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামী, মুজাহিদসহ মোট ছয়জনের ফাঁসি ইতোমধ‌্যে কার্যকর করা হয়েছে।

দেশকে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আর লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। সেই চিন্তা করে দেশ পরিচালনা করছি বলেই এই উন্নয়ন করতে পারছি।  ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে যাব। অচিরেই বাংলাদেশ সে অবস্থানে যাবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!