• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাব্বি হতে পারলে টেস্ট বাঁচাতে পারত বাংলাদেশ!


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭, ০৩:৫৬ পিএম
রাব্বি হতে পারলে টেস্ট বাঁচাতে পারত বাংলাদেশ!

ঢাকা: শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ টেস্ট হেরেই গেল বাংলাদেশ। একমাত্র টেস্টটি স্বাগতিক ভারত ২০৮ রানে জিতে নিয়েছে। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে ৪৫৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য ছিল। মুশফিকুর রহীমদের জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হত। তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল টেস্টটি ড্র করার। কিন্তু পঞ্চম ও শেষ দিনে বাংলাদেশ চা বিরতির ঠিক আগে রবিচন্দ্র অশ্বিন তাসকিন আহমেদকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভেঙে ফেলে। ফলে মুশফিকদের  ইনিংস শেষ হয় ২৫০ রানে। 

আসল টেস্ট মেজাজ দেখিয়েছেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। নিউজিল্যান্ডেও একটি ইনিংসে তিনি মাটি কামড়ে উইকেটে পড়েছিলেন। হায়দরাবাদে শেষ পর্যন্ত তাকে আউটই করতে পারেনি ভারতীয় বোলাররা। ৭০ বল খেলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন রাব্বি। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের যে কাজ করার কথা ছিল সেই কাজ করেছেন এই পেসার। তার কাছ থেকে অন্তত এটা শেখা উচিৎ যে কিভাবে টেস্ট বাঁচাতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হয়। বাকিরা যদি আরেকটু ধৈর্য্য নিয়ে উইকেটে পড়ে থাকার চিন্তা করতেন তাহলে হয়ত ম্যাচটি ড্র করাও সম্ভব হত। 

পঞ্চম দিনের সকালের শুরুটা হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে (২২) হারিয়ে। তারপর মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকের জুটি বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছিল। কিন্তু ১৬২ রানে মুশফিকের যে কী মনে হল অশ্বিনকে সীমানাছাড়া করার পরের বলটিই আকাশে তুলে দিলেন। সেট হয়েও ৪৪ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারলেন না।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই গড়পড়তা ফর্র্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সাব্বির রহমান। তাই তার সামনে সুযোগ ছিল আরেকবার টেস্টে প্রমাণের। সেই চেষ্টা করেছিলেনও। পারলেন কোথায়? ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামল সাব্বিরের ৬১ বলে চার বাউন্ডারীর সাহায্যে করার ২৩ রানের ইনিংসটি।

ভরসা তখন এক মাহমুদুল্লাহ। তার সঙ্গে জুটি বাঁধলেন আগের ইনিংসে ফিফটি করা মেহেদি হাসান মিরাজ। অবশ্য ততক্ষণে ১৯ মাস পর টেস্ট ফিফটি পেয়ে গেছেন মাহমুদুল্লাহ। ব্যাটও কথা বলছে তার হয়ে। বাংলাদেশের সবাই যখন মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি প্রার্থনায় তার আগেই তিনি আউট হয়ে বাংলাদেশের পরাজয়ই ত্বরান্বিত করলেন। ১৪৯ বল খেলে মাহমুদুল্লাহ করেন ৬৪ রান। বাউন্ডারী মেরেছেন সাতটি। তার আউট হওয়ার পরপরই আসলে বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন ফিকে  হয়ে যায়। বাকিরা মিলে ভারতের জয়কে কতটা বিলম্বিত করতে পারেন সেটাই ছিল দেখার। জাদেজার বলে আউট হওয়ার আগে সেই চেষ্টাই করেছেন মিরাজ ৬১ বলে ২৩ রান করে। শেষ দিকে বড় প্রশংসার দাবিদার রাব্বি। তিনি ৭১ বল খেলে ৩ রানে অপরাজিত থেকে বাকিদের জন্য নজির স্থাপন করেছেন।

দুই স্পিনার অশ্বিন-জাদেজা দুজনই তুলে নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। অশ্বিন ৭৩ ও জাদেজা ৭৮ রান দিয়ে এই উইকেট তুলে নেন। ৪০ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। 

ভারত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৬৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে বাংলাদেশ  অলআউট হয় ৩৮৮ রানে। বাংলাদেশ ফলোঅন না করিয়ে আবার ব্যাটিং করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ফলে বাংলাদেশের সামনে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৫৯ রান। বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ২৫০ রান। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বিরাট কোহলি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই
 

Wordbridge School
Link copied!