• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোজার শুরুতেই কাঁচাবাজারে ‘আগুন’


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ৭, ২০১৬, ০৩:১৮ পিএম
রোজার শুরুতেই কাঁচাবাজারে ‘আগুন’

রমজান মাস এলেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে! কিন্তু এ বছর রমজানের প্রথম দিনেই নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে বাজারে বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা, টমেটোসহ রমজানে অধিক প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ হারে।

রোববার (৫ জুন) যে সবজি কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। যে পণ্য মঙ্গলবার (৭ জুন) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে রাজধানীতে সরকার নির্ধারিত দামেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে গরু আর খাসির মাংস, তবে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম।

বিক্রেতাদের দাবি, কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়েনি। সরবরাহের কারণে দামের সামান্য তারতম্য হচ্ছে। তবে ক্রেতারা বলেছেন, এটা নিতান্তই ‘খোঁড়া অজুহাত’। ক্রেতাদের অভিযোগ, মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় এসব অরাজকতা নিয়মে পরিণত হয়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোববার বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কেজি দরে। প্রথম রমজান মঙ্গলবার তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ৪০ টাকার বেগুন প্রকারভেদে পৌঁছেছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

রোজা শুরুর আগে দেশি শসা বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়, হাইব্রিডের দাম ছিলো ২০ টাকা। মঙ্গলবার এর একটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, অন্যটি ৬০ টাকা দরে। মৌসুম না হলেও রমজানে চাহিদা থাকায় দাম বেড়েছে টমেটোর।

কিছুটা ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেলো মাংসের বাজারে, এক দিন আগেই গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু রমজানের প্রথম দিনে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকায়। তবে কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে।

এদিকে বাজেট ও বরাদ্দের অভাবে ক্রেতা চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সংস্থাটি খোলাবাজারে পাঁচটি পণ্য বিক্রি করছে। কিন্তু মাত্র ৯ দিনের মধ্যেই ট্রাকপ্রতি পণ্যের বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে মজুত শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে খেজুর বিক্রি। রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে টিসিবির পণ্যবিক্রি শুরু হলেও ৪ জুন থেকে মসুর ডাল ছাড়া তিনটি পণ্যের বরাদ্দ একশ থেকে চারশ কেজি পর্যন্ত কমিয়ে দেওয়া হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ট্রাকে পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও অধিকাংশ স্পটে পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে দুপুরের মধ্যেই। সব মিলিয়ে রমজানের শুরুতেই নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!