• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের দেখতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত আসছেন সোমবার


কূটনৈতিক প্রতিবেদক  ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১০:৫৩ এএম
রোহিঙ্গাদের দেখতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত আসছেন সোমবার

ঢাকা : মিয়ানমারের জাতিগত নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবাধিকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের নিয়োগ করা বিশেষ দূত ইয়াঙ্গি লি তিন দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সফরে আসছেন। সফরে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াঙ্গি লি কাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিবিরগুলো পরিদর্শন করবেন। এর আগে তিনি মিয়ানমারে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে আগামী ১৩ মার্চ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবাধিকার বিষয়ে বিশেষ মূল্যায়ন প্রতিবেদন তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থায় দাখিল করবেন।

এদিকে, বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্য থেকে এক হাজার জনকে উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে চায় জাতিসংঘ। এ বিষয়ে দেশ দুটিকে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাতিসংঘ। তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র এখনো কিছু জানায়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের কারণে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বসবাস করছে। এই রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই কক্সবাজার জেলার দুইটি আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছে। তবে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গত দুই মাসের ব্যবধানে আরো প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারে প্রবেশ করেছে। তারা এখন ভাসমান আশ্রয়শিবিরে রয়েছে। বেঁচে থাকার তাগিদে এদের মধ্যে অনেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলায় এখন ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। এদের কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি থেকে শুরু করে সব বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে জানান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা কক্সবাজারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করছে। তাদের কারণে ওই অঞ্চলের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সব কর্মকাণ্ডেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই সমস্যা সমাধানে এরই মধ্যে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের কাছে সমর্থন চাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বৈশ্বিক সংস্থাগুলো এবং সব রাষ্ট্রই এই ইস্যুতে সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেছে। 

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!