• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লাশ বহনে বর্বরতা, আর কত?


নিউজ ডেস্ক জুন ৬, ২০১৭, ০৮:১৭ পিএম
লাশ বহনে বর্বরতা, আর কত?

ঢাকা: হাসপাতালে মারা গেলেন দানা মাঝির স্ত্রী। লাশ নিয়ে ফিরতে হবে বাড়িতে। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবেও স্বচ্ছল না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স যোগার করতে পারেননি। কোন অনুরোধও রাখেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই স্ত্রীর লাশ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন স্বামী। বেশ কিছুদিন আগে এ ঘটনা ঘটেছিল ভারতের উড়িষ্যায়।

এদিকে, রোববার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩/৪ দিন আগে বিহারে মুজাফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য একটি লাশ ময়লার গাড়িতে করে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

আর গত শুক্রবার (২জুন) লাশ বহনে বর্বরতা দেখা গেল ভারতের বিহারে পূর্ণিয়ার জেলা সদর হাসপাতালে। অসুস্থ অবস্থায় স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বৃদ্ধ শঙ্কর শাহ, সেখানেই মারা গেলেন স্ত্রী।

বিপাকে পড়লেন স্ত্রীর লাশ নিয়ে, কারণ হাসপাতাল থেকে বাড়ি পর্যন্ত লাশ নিয়ে যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দেয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না তার। শেষ পর্যন্ত ছেলের মোটরসাইকেলে স্ত্রীর লাশ বসিয়ে, কোনোমতে বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধ।

বৃদ্ধ শঙ্কর শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে বলা হল। আমি হাসপাতাল কর্মীদের অনুরোধ করি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু ওরা আমায় বলল, ওরা কোনো সাহায্য করতে পারবে না, যা করার নিজেকেই করতে হবে।

শঙ্কর আরও জানান, এর পর অ্যাম্বুলেন্সের চালককে স্ত্রীর লাশ বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু চালক ২৫০০ রুপি (৩১২৮ টাকা) ভাড়া দাবি করেন। অনেক অনুরোধেও চালকের মন গলেনি। কোনো উপায় না পেয়ে ছেলে পাপ্পুর মোটরসাইকেলে বসিয়েই স্ত্রীর লাশ বাড়ি নিয়ে আসতে বাধ্য হন শঙ্কর।

এ বিষয়ে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনার সময় হাসপাতালে কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। আর যে অ্যাম্বুলেন্সটির কথা বলা হচ্ছে সেটি অকেজো।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!