• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন


বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭, ১১:৫৮ এএম
ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন

ঢাকা: আপনি কি নতুন ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছেন? তাহলে অবশ্যই আপনাকে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। না হলে পকেট বা চাহিদা অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনে ঠকতে পারেন! তাই সে বিষয়গুলো জেনে বাজারে গিয়ে ভালো দেখে একটা নিয়ে আসুন। চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

স্ক্রিন সাইজ: নিজের কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ বেছে নিন। অফিসের কাজের জন্য প্রায়শই ট্র্যাভেল করতে হলে ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চির ল্যাপটপ কিনুন। তবে অফিসের চার দেওয়ালের মধ্যে আপনার কাজ মিটে গেলে বাছতে পারেন একটু বড়সড় ১৫.৬ ইঞ্চির ল্যাপটপ।  

ডিজাইন: ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ কিনবেন না চিরাচরিত ডিজাইনের তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। অফিসের কাজে বাইরে অনেক ক্ষণ কাটাতে হলে ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ বেশি কার্যকরী হবে। এতে ল্যাপটপ নিমেষে বদলে যাবে ট্যাবলেটে। ফলে সহজেই তা হাতে করে ঘুরতে পারবেন। তবে সারা ক্ষণ অফিসের ডেস্কে বা পড়ার টেবলে বসে কাটালে নন-ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ কেনাই ভাল।

পোর্ট: পুরনো ডিজাইনের ল্যাপটপে ভিজিএ-সহ একাধিক অজিও জ্যাক গোঁজার পোর্ট থাকত। আজকালকার ল্যাপটপে পোর্টের জায়গা কমে গিয়েছে। এতে জুড়েছে ইউএসবি, এইচডিএমআই এবং কার্ড রিডার স্লট। সামান্য খরচ করে কিনতে পারেন আল্ট্রা থিন ল্যাপটপ। যাতে রয়েছে ইউএসবি টাইপ টাইপ-সি পোর্ট। এতে সব ধরনের জ্যাক লাগিয়ে কাজ করা যাবে। ফলে ল্যাপটপ কেনার আগে বেছে নিন নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোর্ট।

হার্ড ড্রাইভ: প্রায় প্রতি দিনই বাজারে নতুন মডেলের ল্যাপটপ আসছে। আর হার্ড ড্রাইভের সাইজ ক্রমশই বাড়ছে। তবে এ ধরনের ল্যাপটপ বেশ ভারী হয়। তাই কিনতে পারেন ফ্ল্যাশ ড্রাইভ (এসএসডি)-সহ ল্যাপটপ। দ্রুতগতি ছাড়াও এ ধরনের ল্যাপটপ বেশ হাল্কা হয়। তবে এ রকম ল্যাপটপের দামও বেশি সে কথা খেয়াল রাখবেন।

টাচস্ক্রিন: মোবাইলের মতোই ল্যাপটপেও টাচস্ক্রিনের সুবিধা রয়েছে। উইনডোজ ১০-এ এমন অনেক অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলি কেবলমাত্র টাচস্ক্রিন ল্যাপটপের কথা ভেবেই বানানো হয়েছে। তবে দামের কথা মাথায় রেখে তবেই এ রকম ল্যাপটপ কিনুন।

ব্যাটারি: ল্যাপটপে কী ধরনের কাজ করবেন তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তা কিনুন। এক বার চাজ দিয়েই ৫-৬ ঘণ্টা কাজ চালাতে পারেন এমন ল্যাপটপ দামে কম। তবে সারা ক্ষণ ল্যাপটপে বসে কাজ করতে হলে একটু বেশি খরচ করুন। সে ক্ষেত্রে এক চার্জেই ৮-১০ ঘণ্টা একনাগাড়ে কাজ করা যাবে।

গ্রাফিক্স কার্ড: লেখালেখি বা সাধারণ মাল্টিমিডিয়ার কাজ করার হলে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করুন। আর ভিডিও গেম খেলা বা এডিটিং-এর মতো কাজ থাকলে ইন্টারনাল ছাড়াও একটি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কাড-সহ ল্যাপটপ কিনুন।

ল্যাপটপের সঙ্গে সব সময়ই অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) মেলে না। এতে কয়েক হাজার টাকা বাঁচলেও ওএস-সহ ল্যাপটপই কিনুন। উইনডোজের মতো ওএস-এ নিয়মিত আপডেট হওয়ায় তাতে ল্যাপটপের সিকিউরিটি বেশি। তবে বাজেট কম থাকলে লিনাক্স বা অন্য কোনও ওপেন সোর্স ওএস-সহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।

সূত্র: আনন্দবাজার।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!