সব বিভাগীয় শহরে জনসভা করবে বিএনপি

ঢাকা : সাত দফা দাবিতে সব বিভাগীয় শহরে ও গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোয় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেনি দলটি।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের নীতিনির্ধারকদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া সংস্কারপন্থীরা বিএনপিতে ফিরতে চাইলে আপত্তি থাকবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছি। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।

সূত্র জানায়, রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভা থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সাত দফা দাবি ও ১২ দফা ঘোষণা নিয়ে সারা দেশে সফর করতে চাইছেন নেতারা।

এতে জনমত গঠন ছাড়াও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার কৌশল নেয়া হয়েছে। ১০ অক্টোবরের পর সমাবেশের মাধ্যমে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সব বিভাগীয় শহর ছাড়াও বড় জেলা শহরগুলোয় এই সমাবেশ হবে। শিগগিরই সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

বৈঠকে সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ার বিষয়েও নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন নেতারা। এ বিষয়ে শিগগিরই ঐক্য ঘোষণার জন্য ঘোষণাপত্র তৈরির ওপর জোর দেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

সূত্র জানায়, শিগগিরই নির্বাচনকালীন সরকারের একটি রূপরেখা দেবে বিএনপি। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এছাড়াও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে করণীয়সহ চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই