• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের ধর্মঘট রোববার


নিজস্ব প্রতিবেদক  জুলাই ২১, ২০১৬, ১০:৫৬ পিএম
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের ধর্মঘট রোববার

অর্থপাচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দোষী প্রমাণ করে ৭ বছরের জেল ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করে আদালতের দেয়া রায়ের প্রতিবাদে আগামী রোববার (২৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্রদল।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি নাজমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদকের আপিল গ্রহণ করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।

এর আগে এই মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। একই সঙ্গে তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এর মধ্যে নিম্ন আদালতে তারেক রহমানকে দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল ও নিম্ন আদালতে দেয়া সাজার বিরুদ্ধে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের করা এর আগে গত ১৬ জুন এ আপিল শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। এই মামলায় দুদকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। 
অপরদিকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তবে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণের আদেশ দেন হাইকোর্ট। তার লন্ডনের ঠিকানায় সমন পাঠানোর পরও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। তাই তারেককে পলাতক রেখেই চলতি বছর ৪ মে আদালত এই মামলার আপিল শুনানি শুরু করেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। অভিযোগে রয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামে ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!