• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘সবার বাড়ি তো দেখি কুষ্টিয়ায়, গোপালগঞ্জের কেউ নেই’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৯:০৯ পিএম
‘সবার বাড়ি তো দেখি কুষ্টিয়ায়, গোপালগঞ্জের কেউ নেই’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিকদের তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই বাড়ি কুষ্টিয়ায়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মজা করে বলেন, লিস্টে সবার বাড়ি দেখি কুষ্টিয়ায়, গোপালগঞ্জের কেউ নেই?

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত সাংবাদিক এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা, ভাতা ও অনুদানের চেক বিতরণ করেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের এক পর্যায়ে রসিকতার সুরে বলে ওঠেন, ‘একটাই দুঃখ, লিস্টে গোপালগঞ্জের কেউ নেই। এত এত সাংবাদিক অনুদান পাচ্ছেন, এর মধ্যে একজনের নামও পেলাম না যার বাড়ি গোপালগঞ্জ। অনুদান পাওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে গোপালগঞ্জের কেউ নেই।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘একদিক থেকে অবশ্য আমি খুশি। লিস্টে গোপালগঞ্জের কেউ নেই মানে গোপালগঞ্জের কোনো সাংবাদিক অসচ্ছল নন। আর তারা কেউ যেন অসচ্ছল না থাকেন, তার ব্যবস্থাও আমি করে দেবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সংবাদপত্র ও মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা ক্ষমতায় এসে কারো মুখ বা গলা চেপে ধরিনি, কারো কথা বলার অধিকারও কেড়ে নিইনি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে একটি টেলিভিশন ও একটি রেডিও পেয়েছি। এর পর আমরা বেসরকারি খাতে টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিই। সংবাদপত্র ও রেডিও যে যেভাবে চেয়েছে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘শুধু সাংবাদিক নয়; সব পেশাজীবী মানুষের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি মনে করি এটি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। কারণ বঙ্গবন্ধুও সারাজীবন শুধু মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি সাংবাদিকদের জীবন কেমন। তাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। বেতনেরও নিশ্চয়তা কম। এ কারণে আমি নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করি।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নিয়মিত প্রেসক্লাবে যেতাম। আড্ডা দিতাম, চা-পুরি, সিঙ্গাড়া খেতাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকালে এক কাপ চা ও একটি পত্রিকা যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, এটা তা আপনারা বোঝেন। টেলিভিশন বন্ধ রেখে সকালে পত্রিকা নিয়ে বসি। সব পত্রিকা যে পক্ষে লেখে তা নয়। প্রয়োজনীয় সংবাদগুলো মার্ক করি। সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলি। সংবাদপত্র থেকে অনেক তথ্য পাই। দুর্গম জায়গার অনেক তথ্যও সংবাদপত্রে আসে। তাতে আমরা সহযোগিতা পাই। এ জন্য সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কথা বলার স্বাধীনতা সবারই আছে। কাউকে বাধা দিইনি। কেউ বলতে পারবে না কারো মুখ বা গলা চেপে ধরেছি। সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করার দরকার সবই করছি।’

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!