• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারি অনুদানের ছবিতে প্রবীণদেরই প্রাধান্য...


বিনোদন প্রতিবেদক মে ৩০, ২০১৭, ১১:১৩ এএম
সরকারি অনুদানের ছবিতে প্রবীণদেরই প্রাধান্য...

ঢাকা: ‘তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম ও আবু সাঈদ এর মতো নির্মাতাদেরও এই দেশে ছবির জন্য সরকারি অনুদান লাগে। দেশটায় কোনও প্রডিউসার আছে বলে মনে করেন? না, দেশে কোনও সিনেমা প্রডিউসার নাই। এক কথায় নাই।’- চলতি অর্থ বছরে সরকারি অনুদান ঘোষণার পর পর ইলিয়াস কমল নামের একজন তরুণ নির্মাতার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এটি! শুধু ইলিয়াস কমল নন, এই সময়ে যারা সিনেমা নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন সবারই বক্তব্য এমন কাছাকাছি। 

প্রতি বছরেই বেশীর ভাগ সময় দেখা যায়, সরকারি অনুদানে প্রবীনদেরকেই বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়। প্রতিবারের মতো চলতি অর্থ বছরেও হয়নি তার ব্যতিক্রম। চলতি অর্থ বছরে সরকার অনুদান দিয়েছে ৬ চলচ্চিত্রকে। এরমধ্যে ‘নোনা জলের কাব্য’ নির্মাতা রেজোয়ান শাহরিয়ার সুমিত এবং প্রামাণ্যচিত্র ‘একজন মরিয়ম’ নির্মাতা ফেরদৌস আলম সিদ্দিকী ছাড়া বাকি চারজনই বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান নির্মাতা।

এরমধ্যে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘প্রিয় জন্মভূমি’র জন্য এবার অনুদান পেয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান, ‘রূপসা নদীর বাঁকে’র জন্য তানভীর মোকাম্মেল, ‘আজব সুন্দর’ ছবির জন্য শবনম ফেরদৌসী এবং ‘দায়মুক্তি’ চলচ্চিত্রের জন্য কমল সরকার। 

২৯ মে দুপুরে তথ্যমন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। শিশুতোষ চলচ্চিত্রটির জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৪০ লক্ষ টাকা। নোনা জলের কাব্য, রূপসা নদীর বাঁকে ও আজব সুন্দর পাবে ৫০ লক্ষ টাকা করে। ‘দায়মুক্তি’ পাবে ৪০ লক্ষ টাকা। আর প্রামাণ্যচিত্রটি পাচ্ছে ৩০ লক্ষ টাকা। অনুদানের প্রথম চেকপ্রাপ্তির নয় মাসের মধ্যেই চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে। সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনোভাবেই শিল্পী-কলাকুশলী-গল্প ও চিত্রনাট্যে কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। একইসঙ্গে সিনেমাটি নকল বলে প্রমাণিত হলে অনুদানের পুরো অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে, এমনকি সরকার আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারে।

সাধারণত অনুদান নিয়ে সিনেমা করার স্বপ্ন দেখেন তরুণরা। কারণ যারা প্রতিষ্ঠিত, খ্যাতিমান তাদেরতো প্রডিউসার খোঁজার ঝামেলা নেই। কিন্তু নির্মাণে যারা একেবারে হাতেখড়ি, তাদেরকেতো প্রমাণ করার সুযোগ পেতে হবে। যেহেতু একেবারে নতুনদের উপর কোনো প্রডিউসার ভরসা করবে না, ফলে সেই দায়িত্বটা সরকারসহ বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান অনুদানের মধ্য দিয়ে সুযোগটা দিতে পারেন। কিন্তু এই অনুদানের জন্য যদি প্রতিষ্ঠিত ও প্রবীন নির্মাতারা ফাইট করতে আসেন তাহলে তাদের মাড়িয়ে সরকার বা ওই প্রতিষ্ঠানটি কখনোই একজন নতুন নির্মাতাকে অনুদানটি দিতে চাইবে না। অন্তত এমনটিই মনে করছেন তরুণ নির্মাতারা। 

প্রসঙ্গত, গেল অর্থ বছরে ৭টি ছবির ৮ জন নির্মাতাকে সরকারি অনুদান দেয়া হয়েছিলো। এরমধ্যে মোরশেদুল ইসলামের ‌‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’, হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস অবলম্বনে স্বনামের ছবি, যা পরিচালনা করছেন মাকসুদ হোসাইন ও জয়া আহসান। বদরুল আনাম সৌদের গল্প ও পরিচালনায় ‘গহীন বালুচর’ , কমল সরকারের চিত্রনাট্যে স্বপন চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বৃদ্ধাশ্রম’, কামার আহমাদ সাইমন ও সারা আফরীন প্রযোজিত কামার আহমাদ সাইমনের পরিচালনায় ‘শঙ্খধ্বনি’, তুষার আবদুল্লাহ ও পান্থ প্রসাদের লেখা এবং পান্থ প্রসাদের পরিচালনায় ‘সাবিত্রী’ চলচ্চিত্রগুলো। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!