• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাফাত ৬ ও সাদমান ৫ দিনের রিমান্ডে


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১২, ২০১৭, ০৩:৫৪ পিএম
সাফাত ৬ ও সাদমান ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে দ্য রেইট ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদের ৬ ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

এদিকে, এই দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, রিমান্ডে নেয়ার পর তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। দুই আসামি দাবি করেছে অভিযোগকারী তরুণীদের সঙ্গে তাদের সম্মতিক্রমেই তারা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে।

কৃষ্ণপদ রায় আরও বলেন, ‘আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। রিমান্ডে নেয়ার পরে প্রকৃত জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। তদন্তে আশা করছি বিষয়টিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাবো। এই মামলার তদন্তকে একটি মডেল হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সিলেট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রাতেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার (৬ মে) ওই তরুণীরা বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সফিক, ড্রাইভার বিল্লাল ও সাফাত আহমেদের বডিগার্ড।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদমান সফিক তাদের পূর্ব পরিচিত। ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে গুলশান-২ নম্বরের ৬২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে গত ২৮ মার্চ সাফাত আহমেদ তার গাড়ি পাঠিয়ে ড্রাইভার ও বডিগার্ডের মাধ্যমে তরুণীদের বাসা থেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর কোনো ভদ্র লোককে তারা দেখতে পায়নি। পরিবেশ ভালো না লাগায় তারা চলে যেতে চাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনকে একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক মদ্যপান করিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় সাফায়াতের নির্দেশে তার ড্রাইভার বিল্লাল ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। পরবর্তীতে সাফাত তার দেহরক্ষীকে তরুণীদের বাসায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ও ভয়ভীতি দেখায়। তাদের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে এক পর্যায়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। এ কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বনানী থানার ‘অবহেলা’ খুঁজবে কমিটি

পুলিশকে ১০ কোটি টাকা অফার করেন সাফাত ও সাদমান

দুই তরুণীকে ধর্ষণ, সাফাত ও সাদমান আদালতে

ধর্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে ধর্ষণের সত্যতা

দুই তরুণীর ‘ধর্ষক’ সাফাত ও সাদমান গ্রেপ্তার

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!