• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাটাই গুরুত্বপূর্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৪, ২০১৭, ১০:৫৬ পিএম
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাটাই গুরুত্বপূর্ণ

ঢাকা: আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, এ জন্য সরকারের সদিচ্ছা, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সেনা মোতায়েনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শনিবার(১৪ অক্টোবর) ঢাকা ফোরাম আয়োজিত ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা।

অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সরকার না চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সোচ্চার হতে হবে। সরকার যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার লাগবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অংশীদারমূলক সরকার না হলে অর্থনীতি ও সংস্কৃতির উন্নয়ন আমরা ভালোভাবে করতে পারব না।’ তিনি সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সালেহউদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর উচিৎ তাদের কর্মকাণ্ডে সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছে দেয়া যে, একতরফা নির্বাচন মেনে নেব না। সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন সম্ভব নয়।’

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি মন্তব্য করে তিনি আগামী নির্বাচনকে ‘স্বাধীন ও সুষ্ঠু’ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালের নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারিনি, ভবিষ্যতেও দিতে পারব কিনা জানিনা। রুলিং পার্টির অধীনে কখনোই ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ নির্বাচন সম্ভব নয়, যদি সম্ভব করতেই হয় তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দিতে হবে।’

নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর গুরুত্বারোপ করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনও।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সব দলের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতেই হবে এবং সবাই যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেয়া যেতে পারে।’
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ একমাত্র উপায় হিসেবে দেখতে নারাজ সাবেক সিইসি শামসুল হুদা ও সালেহউদ্দিন আহমেদ।

শামসুল হুদা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি না হয়, তাহলে কী করব এ পরিকল্পনা আমাদের করতে হবে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর একটি সংস্কৃতি রয়েছে... কিছু হলেই সংসদ বয়কট; এর ফলে সংসদ অকার্যকর হয়ে যায়।’

গত নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় বিএনপির সমালোচনা করে সাবেক এই সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সম্মান করতে হবে। অনেক অঞ্চলে শুধু নির্বাচনে দাঁড়ালেই তাদের (বিএনপি) প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, নির্বাচন না করে বিরোধীদলহীন একটি সংসদ গঠনে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!