• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত তিন চক্র শনাক্ত!


বিশেষ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮, ০১:৩০ পিএম
স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত তিন চক্র শনাক্ত!

ঢাকা : স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত তিনটি বড় সিন্ডিকেট শনাক্ত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠা এসব চক্রের সদস্যরা মানি এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি ও জুয়েলারি ব্যবসায় যুক্ত। দুবাই, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে নানা কৌশলে স্বর্ণ এনে তারা পাচার করছে ভারতে।

বন্ধ হচ্ছে না স্বর্ণের চোরাচালান। পাচার হয়ে আসা স্বর্ণ নিয়মিত জব্দ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে। তবে যে পরিমাণ ধরা পড়ছে ভারতে পাচার হচ্ছে তার কয়েক গুণ বেশি। বাংলাদেশকে চোরাচালানের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চক্রগুলো।

ভারতে স্বর্ণ পাচারে জড়িত বেশ কটি সিন্ডিকেট শনাক্ত করে তাদের ধরতে কাজ করছে সিআইডি।

সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় আছে। এদের মধ্যে তিনটি চক্র ইতিমধ্যে শনাক্ত হয়েছে। চক্রের হোতাদের ধরতে অভিযান চলছে।

সিআইডি আরও বলছে, ভারতে স্বর্ণ চোরাচালানে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় মতিয়ার, মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে তিনটি আলাদা সিন্ডিকেট। মতিয়ার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন পল্টনের এক সময়ের জনশক্তি রপ্তানিকারক হুদা।

তার সঙ্গে আছেন কোতয়ালীর শাজাহান, তাঁতীবাজারের অলি, আওলাদ, মজিবর, তার শ্যালক সুরুজ, বাড্ডা লিংক রোডের কবির, মওলা ও মামুন।

মোহাম্মদ আলী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক তার ছেলে রেজাউল। শ্যালক রবিউল ও ভায়রা দেলোয়ার, অন্তত ১০ জনকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে স্বর্ণ এনে পাচার করে ভারতে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেলোয়ার।

ফেনীর সোনাইমুড়ির আব্দুল বাতেন সিন্ডিকেটের সদস্য মানিক, মনির, রাসেলসহ অন্তত ১২ জন। তারা বিদেশ গিয়ে প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যবহার করে স্বর্ণের চালান আনছে দেশে।

এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যোগাযোগের তথ্যও পেয়েছে সিআইডি।

স্বর্ণ চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের বেশিরভাগই হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত বলেও জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!