• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ১০, ২০১৭, ০৪:২৪ পিএম
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

ঢাকা: দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (১১ জুন) থেকে সারা দেশে এ ধর্মঘট পালনের কথা ছিল। শনিবার (১০ জুন) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই-এর সম্মেলন কক্ষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাজুস সহ-সভাপতি এনামুল হক খান।

এ সময় বাজুস সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা স্বর্ণ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত এবং ব্যবসাবান্ধব স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা বাস্তবায়নের দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে বাজুস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এ বিষয়ে এনামুল হক খান দোলন বলেন, আমরা ধর্মঘটে যাচ্ছি না। তবে আমরা সরকারের কাছে সোনা আমদানির ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা চাই। এই নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত যাতে আমাদের হয়রানি না করা হয় সে বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে আটকে রেখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদকে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ উঠলে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শো-রুমে অভিযান চালিয়ে ৫৬৭ কেজি স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

গত ৬ জুন কাকরাইলে নিজ কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, আপন জুয়েলার্সের বাজেয়াপ্ত স্বর্ণের মধ্যে ৫৩৮ কেজিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু আপন জুয়েলার্সই নয়, আরও বেশ কয়েকটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ড. মইনুল খানেরও অপসারণ দাবি করে বাজুস। কিন্তু শুক্রবার (৯ জুন) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বাজুসের ধর্মঘটের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, বাজুসের তৎপরতা বেআইনি এবং দুর্নীতির সহায়কের ভূমিকা পালনের নামান্তর।

সংস্থাটি অবৈধ স্বর্ণ উদ্ধারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর পরিচালিত চলমান অভিযান সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চালানোর আহ্বান জানায়। এ অভিযান সমভাবে সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার ভয় বা করুণার বশবর্তী না হয়ে চালাতে বলে টিআইবি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এআই

Wordbridge School
Link copied!