• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে মেগা বিচ কার্নি ভাল’র  


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২, ২০১৬, ১০:১৮ পিএম
কক্সবাজারে মেগা বিচ কার্নি ভাল’র  

 

সোনালীনিউজ ডেস্ক

 ‘জলের গান’ এর শিল্পীদের সুরের মুর্ছনায় পর্যটক সমুদ্রে যখন উচ্ছ্বাসের ঢেউ ওঠে তখন পশ্চিমাকাশে লাল আভা ছড়িয়ে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে সফল সমাপ্তি ঘটে তিন দিনব্যাপী ‘মেগা বিচ কার্নিভালের’।
 
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে পর্যটন বর্ষ-২০১৬ উদযাপনে আয়োজন করা হয় ৩ দিনের মেগা বিচ কার্নিভালের।
 
বৃহস্পতিবার সকালে বর্ণিল শোভাযাত্রা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে শনিবার বিকেলে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে।
 
উৎসবের শেষ দিন শনিবার সকাল ৭টায় এয়ার বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানমালার।
 
এতে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কাবাডি, মোরগ লড়াই, সাফিংয়ের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বান্দরবানের শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশনা।
 
এ ছাড়াও কার্নিভালের শেষ দিনে গান পরিবেশন করেন দেশসেরা শিল্পী নিশীতা, ঝিলিক, আতিক হাসান, রাজীব, বারী সিদ্দিকী, মিলা ও জনপ্রিয় গানের দল ‘জলের গান’।
 
আর ‘জলের গানের’ শিল্পীদের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শনিবার সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা ৩ দিনের মেগা বিচ কার্নিভালের।
 
মেগা বিচ কার্নিভালের আয়োজনকে ঘিরে গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কক্সবাজারে সমাগম ঘটে দেশি-বিদেশি লাখো পর্যটকের। এই কয়েক দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত কক্সবাজার যেন রূপ নিয়েছিল উৎসবের নগরীতে। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ আয়োজনের সঙ্গে উচ্ছ্বাসিত ছিল সমাগত পর্যটকরা।
 
শেষ দিনে কার্নিভাল উপভোগ করতে আসা বিভিন্ন এলকা থেকে আসা দর্শণার্থীরা তাদের উচ্ছাসের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা বলেন , অনুষ্ঠান খুব উপভোগ করেছি । দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে এ ধরনের আয়োজন পর্যটকদের কক্সবাজার বেড়াতে আসতে আকৃষ্ট করবে।’
 
 আয়োজন নিয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারবাসী ও পর্যটকরা এ রকম আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা করবে, তা আমাদের কাছে ছিল অকল্পনীয়। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
 
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, কার্নিভাল ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে ঘিরে গত কয়েক দিনে কক্সবাজার হয়ে উঠেছিল উৎসবের নগরীতে। কক্সবাজারের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল কানায় কানায় ভরপুর হয়েছিল। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও  আনাগোনা ঘটে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের। 

 

Wordbridge School
Link copied!