• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কে হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৩, ২০১৯, ০২:০০ পিএম
কে হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

ঢাকা : ব্রেক্সিট ইস্যুতে পদত্যাগ করে ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে পালাবদলের ইঙ্গিত দেন টেরিজা মে। তারপরে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন ডজনখানেক কেবিনেট সদস্যও। তাই সবকিছু ঢেলে সাজাতে নতুন পার্টি লিডার নির্বাচন হচ্ছে। হয়েছে পাঁচ দফা ভোট। কনজারভেটিভ এমপিদের সমর্থনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে টিকে আছেন বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট।

প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও কয়েক দফা ভোটের পর পঞ্চম ও চূড়ান্ত রাউন্ডে ৩১৩ এমপির মধ্যে বরিস জনসন ১৬০, জেরেমি হান্ট ৭৭ ও মাইকেল গোভ ৭৫ ভোট পেয়েছেন। তবে তৃতীয় হওয়ায় দলীয় নেতা নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্ব থেকে বাদ পড়েছেন গোভ।

শনিবার (২২ জুন) থেকে যুক্তরাজ্যের ১ লাখ ৬০ হাজার কনজারভেটিভ সমর্থকের ধারাবাহিক ভোটে নিশ্চিত হবে কে হচ্ছেন পরবর্তী কনজারভেটিভ নেতা ও ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা। আগামী ২২ জুলাই ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হতে পারে।

বরিস ও জেরেমির মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক্সিটের পাশাপাশি গুরুত্ব পাবে ট্যাক্স, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইস্যু। দুজনই বেশ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হলেও ধারণা করা হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টির দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হতে পারেন স্পষ্টভাষী বরিস জনসন। ব্রেক্সিট বিষয়ে তিনি সুস্পষ্টভাবে টেরিজা মে’র নীতির সমালোচনা করেছেন ও বিকল্প ধারণা দিয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে মে’র কেবিনেট সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট কিছুটা পিছিয়ে।

বরিস জনসন ও জেরেমি উভয়ই পড়ালেখা করেছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। বরিস দ্য টাইমস, টেলিগ্রাফ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি হেনলির এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০০১-০৮ মেয়াদে। এরপর ছিলেন লন্ডনের মেয়র। টেরিজার কেবিনেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও পরে মতবিরোধের কারণে অব্যাহতি নেন।

অপরদিকে জেরেমি ব্যবসায়ী ও তার পিআর কোম্পানি রয়েছে। সাউথ ওয়েস্ট সুরি থেকে তিনি ২০০৫ সালে এমপি নির্বাচিত হন। সংস্কৃতি ও খেলাধুলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও সবশেষে পররাষ্ট্রের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। জেরেমির জন্ম লন্ডনে তবে বরিস যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন ও তার উভয় দেশের নাগরিকত্ব ছিল। পরবর্তীতে বরিস শুধু যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব বহাল রাখেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!