উদ্ধার সবাই, নিহত ৪৯ ও বাঁচল ২২ জন

ঢাকা: নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে থাকা ৭১ জন যাত্রী ও ক্রুদের মধ্যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। বিমান ও হাসপাতালে থাকা ব্যক্তিদের সবার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ২২ জন কাঠমান্ডুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা এখনো সংকটে রয়েছে বলে জানিয়েছে নেপালের পুলিশ। যাত্রী ও ক্রুদের সর্বশেষ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে নেপালের গণমাধ্যম দ্যা হিমালয়া।

সংবাদপত্রটি বলছে, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময়ে ঘটনাস্থলেই ৩১ জন নিহত হন। ২৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখনই। হাসপাতালে নেয়ার সময় ও পরবর্তীতে আরও ১৮ জন নিহত হন। উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা একে একে সবাইকে উদ্ধার করতে পেরেছেন।

এর আগে রয়টার্স জানিয়েছিল, দুর্ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

যাত্রী ও ক্রুদের চিহ্ণিত করা গেলেও এখনও সবার পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে নেপালে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি ও নেপালে থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা গিয়েছেন। নেপালের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সবার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

তারা আশা করছেন, খুব শিগগিরই সকলের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, বিমানে আগুন ধরার পরে প্রাথমিকভাবেই ২৫জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তি করার সময়েই ৮জন নিহত হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের বেসরকারি মালিকানাধীন উড়োজাহাজ কোম্পানি ইউএস-বাংলার একটি যাত্রীবাহী বিমান নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিমান বন্দরে অবতরণের সময়ে বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধার কাজে নেপালের সেনাবাহিনী ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, ইউ-এস বাংলার একটি উড়োজাহাজ টারবো-৮ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবিস্থত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্রিভূবনে নামার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে। কাঠমান্ডুর স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে এঘটনা ঘটে।

সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার সময়ে ঢাকা থেকে বিমানটি ৭১ জন যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়ে। বিমানের ক্র-সহ ৩৭ জন পুরুষ ও ২৭জন মহিলা ২ শিশু ছিলেন। নেপালের পত্রিকা কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, মোট যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জন নেপালী ছিলেন।

বিমানটির আসন ক্ষমতা ছিল ৭৮ জন।

সোনালীনিউজ/আতা