সম্পর্ক যতই ভালো হোক, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা 

  • নীলফামারী প্রতিনিধি  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
ছবি: প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক যতই ভালো হোক না কেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাঁর ভাষায়, অতীতে যখন দুই দেশের সম্পর্কের ‘স্বর্ণযুগ’ বলা হতো, তখনও সীমান্তে হত্যা থামেনি। তাই সম্পর্কের উষ্ণতা দিয়ে এ সমস্যা সমাধান হবে—এমন আশা করা ঠিক নয়।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নীলফামারীতে এক হাজার শয্যার চীন–বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিটি ঘটনাতেই বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানায়, নোট পাঠায়, অনুরোধ করে-তবুও হত্যা বন্ধ হয় না। তাঁর মতে, ভারতীয় সীমান্তের ভেতর এসব ঘটনা ঘটে, তাই জোর করে তা ঠেকানোর উপায় নেই। তবে সীমান্তে মানুষের চলাচলে আরও সতর্কতার প্রয়োজন আছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর একমাত্র শান্ত সীমান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত, যেখানে যুদ্ধাবস্থা নেই অথচ মানুষকে গুলি করে মারা হয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বাংলাদেশ এর নিন্দা করেই যাবে। তিনি জানান, যদি এসব ঘটনা বাংলাদেশ ভূখণ্ডে হতো, বিজিবিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা যেত। কিন্তু সীমান্তের ওপারে হওয়ায় এখানে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

ভারতের ‘চিকেন নেক’ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ওই করিডর ভারতের, বাংলাদেশের নয়। ভারতের ভূরাজনৈতিক হিসাব–নিকাশ তাদের বিষয়, বাংলাদেশ সেখানে কোনো পক্ষ হবে না। চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়েও বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয় বলেও জানান তিনি।

চীন–বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল সম্পর্কে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি হবে একটি রেফারেল হাসপাতাল। তিন বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমে চীনারা হাসপাতালটি পরিচালনা করবে, পরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, দায়িত্ব শেষ হলে তিনি আগের সাধারণ জীবনে ফিরে যাবেন। কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাঁর নেই। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি নিজের শৈশবের বিদ্যালয় মাগুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এসএইচ