• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাসা ছেড়েও রক্ষা হয়নি কিশোরীর, হাত-পা বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণ


গাজীপুর প্রতিনিধি জুলাই ১৫, ২০২১, ১১:০৯ এএম
বাসা ছেড়েও রক্ষা হয়নি কিশোরীর, হাত-পা বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি : প্রতীকী

গাজীপুর : গাজীপুরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে কয়েক জন যুবক। ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে খুন করে ওই পাষণ্ডরা।এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (১৪ জুলাই) পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নীলফামারী জেলার ডোমার থানার চিলাহাটি মাস্টার পাড়া এলাকার মৃত নবির উদ্দিনের ছেলে মো. সাঈদ ইসলাম ও একই জেলা সদরের তিস্তা চৌরাটারি এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. রনি মিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই গাজীপুরের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাওছার উদ্দিন গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন বারেন্ডা পশ্চিমপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়া বাসায় থাকে সুমাইয়া খাতুন। একই বাসায় পাশের রুমে ভাড়া থাকতেন রনি। পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রনির বন্ধু মিলন, হাসান ও সাঈদ। বন্ধুত্বের সম্পর্কের সুবাদে রনিদের বাসায় তিন বেলা টাকার বিনিময়ে খাওয়া-দাওয়া করতেন মিলন, হাসান ও সাঈদ। ভুক্তভোগী সুমাইয়ার সঙ্গে মিলনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। 

এদিকে সুমাইয়াকে পছন্দ করতেন মিলনের বন্ধু রনি ও সাঈদ। তারা বিভিন্ন সময় সুমাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং উত্যক্ত করার চেষ্টা করতেন। এর প্রেক্ষিতে গত নভেম্বর মাসে ভুক্তভোগীর মা বাসাটি ছেড়ে দেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টার পর সাঈদ নাস্তা খেতে রনির বাসায় যান। এ সময় রনি ও সাঈদ ওই কিশোরীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করার পরিকল্পনা করেন। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী রনি খেলার ছলে ওই কিশোরীর পরনের কাপড় খোলার চেষ্টা করলে কিশোরী বাঁধা দেয়। তখন সাঈদ ভুক্তভোগীর পা ধরে রাখে ও রনি দুই হাত বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দেয়। এ সময় প্রথমে রনি ধর্ষণ করেন ও সাঈদ তার মোবাইলে রনির ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করেন। পরে সাঈদ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার ভয়ে রনি ও সাঈদ শ্বাসরোধে কিশোরীকে খুন করেন।

তিনি আরও জানান, খুনের ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তারা ওই কিশোরীর মরদেহ তাদের ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় গত বছর ৩১ অক্টোবর কাশিমপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরে ময়নাতদন্তে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুনের আলামত পান চিকিৎসক। এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই ওই থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ২ জনকে গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!