সাভার: টানা শ্রমিক অসন্তোষে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বন্ধ থাকা অর্ধশত কারখানার মধ্যে ৩০টি কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। এসকল কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও এখনো বন্ধ আছে আরও ২০টির মতো কারখানা।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কারখানায় গিয়ে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। এসব কারখানাগুলোর মধ্যে ১৮টি আগে থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকি দুটি কারখানায় চলছে সাধারণ ছুটি। যদিও স্থানীয় নেতা ও কারখানা মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে আজ থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজিএমইএ।
এদিকে, খোলা কারখানাগুলোতে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। তাছাড়া, কারখানার বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহলও অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আশুলিয়ায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় ১৮টি বন্ধ এবং দুটি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। এর বাইরে শিল্পাঞ্চলের সব কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন চলছে। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে যৌথ বাহিনীর টহল।
অপরদিকে গাজীপুরের কারখানোগুলো পুরোদমে সচল রয়েছে। রোববার সকালে থেকেই নির্ধারিত সময়ে দলে দলে কারখানায় প্রবেশ করেন শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে পোশাক কারখানায় কোনো অস্থিরতা হলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি জানান, রোববার থেকে সব কারখানা খোলা থাকবে। এছাড়া বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসএস







































