• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

মুকুল সংকটে এবার ভিন্ন চিত্র ঈশ্বরদীর লিচু বাগানে, নেই মধু সংগ্রহকারী মৌচাষিরা


ঈশ্বরদী (পাবনা)  প্রতিনিধি মার্চ ১৯, ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
মুকুল সংকটে এবার ভিন্ন চিত্র ঈশ্বরদীর লিচু বাগানে, নেই মধু সংগ্রহকারী মৌচাষিরা

পাবনা: ঈশ্বরদীতে লিচুর মুকুলের অভাবে লোকসানের মুখে পড়েছে মৌচাষিরা। প্রতিবছর বসন্তের শুরুতে বিশেষ করে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে মুকুলের মৌসুম এলে বিভিন্ন বাগানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌচাষিরা আসেন এবং মধু সংগ্রহ করে থাকেন।  

প্রতি বছর লিচুর বাগানগুলো মৌমাছির জন্য অন্যতম প্রধান উৎস মুকুল হওয়ায় মৌচাষিরা সাধারণত এসব বাগানেই মৌমাছির বাক্স বসিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র। লিচু রাজধানী ঈশ্বরদীর শতকরা ৮০ ভাগ লিচুর গাছেই এবার মুকুল নেই। এবছর লিচুর মুকুল কম থাকায় মৌমাছির সংখ্যাও কম, ফলে মধু সংগ্রহও হচ্ছে সীমিত পরিমাণে।

বুধবার (১৯ মার্চ) উপজেলার জয়নগর, মানিকনগর, বড়ইচারা, মিরকামারী, সাহাপুর,ভাড়ইমারী,জগন্নাথপুর, বক্তারপুর, আওতাপাড়া, বাঁশের বাদা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যেসব বাগানে প্রতিবছর মৌচাষিরা আসেন সেসব বাগানের অধিকাংশই মুকুলের অভাবে ফাঁকা পড়ে আছে। নেই মধু সংগ্রহকারী মৌচাষি।

আবেদ আলী নামে এক মৌচাষি জানান, তার মত শতশত মৌচাষি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট থেকে প্রতিবছর লিচুর মুকুল থেকে ভালো পরিমাণে মধু সংগ্রহ করে আসছে। তবে এ বছর লিচুর গাছে মুকুল না আসায় মধু সংগ্রহ সংগ্রহ করা  সম্ভব হচ্ছে না। তাই মৌচাষ প্রায় বন্ধের পথে। এতে মৌমাছির খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে, আর তারা পড়েছে বড় ধরনের আর্থিক লোকসানের মুখে।”

‎তিনি আরও জানান, মৌমাছিরা ফুলের মধু সংগ্রহ করে বেঁচে থাকে, আর মৌচাষিরা সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করেন। কিন্তু লিচুর মুকুলের অভাবে মৌচাষিরা অন্য বিকল্পপথ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন, যা তাদের জন্য আর্থিকভাবে অনেক বেশি  কঠিন হয়ে পড়েছে।

এআর

Wordbridge School
Link copied!