রাজশাহী: পবা উপজেলার ঠিকাদার ওয়াসিমুল হককে আওয়ামী লীগের ‘অর্থদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে যুবদল। রোববার বিকেলে পবার নওহাটা পৌর যুবদলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান যুবদলের কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন জনি। তিনি নওহাটা পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
ঠিকাদার ওয়াসিমুল হক জনির বোন তানিয়া খাতুনের মামাশ্বশুর। কিছু দিন ধরে ওয়াশিমুল হকের সঙ্গে তার ভাগনে আজাদ কামাল নতুনের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন-পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে। এর জেরেই রোববার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার বিএনপি পরিবারের মানুষ হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নির্যাতিত। অথচ ওয়াসিমুল হক সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে ও যুবদলকে জড়িয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এতে আমাদের পরিবার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওয়াসিমুল হক আওয়ামী লীগের পলাতক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার ও অর্থদাতা হিসেবেই পরিচিত। তার ভাই জয়নাল আবেদীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের জন্য বিপুল অর্থ দিয়েছেন। এমনকি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে তার বড় ভূমিকা ছিল।’
জনি বলেন, ‘আমার ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে তার ব্যবসায়িক বিরোধ চলছে। এর সঙ্গে আমাদের পরিবার বা দলের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও যুবদলকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি নানারকম হুমকি দিয়েছেন। এতে আমরা আতঙ্কিত। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ‘ওয়াসিমুল হক পবার ভুগরইল এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করে একটি চেম্বার নির্মাণ করেছেন, যা এখন আওয়ামী লীগের পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে। সেখানেই নানারকম দেশীয় অস্ত্র মজুত রেখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
ছাত্রদল নেতা জনি তার বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ওয়াসিমুল হককে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘রিমান্ডে নিলে জুলাই-আগস্টের সহিংসতার পেছনের নেপথ্য শক্তি ও অর্থদাতাদের নাম বেরিয়ে আসবে।’
সংবাদ সম্মেলনে নওহাটা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, মমিনুল ইসলাম মিলন, যুবনেতা ইলিয়াস আলী, হাসান ইমাম, মো. রনি, মখছেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ওয়াসিমুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে অর্থ দেওয়া তো দূরের কথা; দলের কোন নেতাকর্মীর সঙ্গেই আমার সম্পর্ক নেই। বরং, আমার ভাগনে নতুন নওহাটা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। সে আমার কাছে অন্যায়ভাবে টাকা দাবি করছে। যুবদলকর্মী জনি তার শ্যালক। সে কারণেই আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
এআর







































