ছবি: সংগৃহীত
নরসিংদীতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনো কাটেনি মানুষের মন থেকে। শক্তিশালী ভূকম্পনে পুরো জেলা কেঁপে ওঠার পর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পলাশ, মাধবদী ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত জেলায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহু উঁচু ভবনে ফাটল ধরেছে। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের আঙিনার মাটি দেবে গেছে। প্রধান ফটকের সামনের টিনশেডের মেঝে ফেটে উঠে গেছে। ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্মে মাটিতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, কোথাও কোথাও ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত ফাঁক হয়ে গেছে।
ভূমিকম্পের পর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন ধরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য ট্রান্সফরমারের বেশির ভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘোড়াশাল এলাকায় ছয়টি বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। এস এ প্লাজা নামে সাততলা শপিং মলে দেয়ালের মাঝখানে বড় বড় দাগ ফুটে উঠেছে। বাজারের বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে ইট পড়ে ক্ষতি হয়েছে। নরসিংদী শহর, মাধবদী, পলাশ ও ঘোড়াশালের একাধিক ভবন হেলে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসককে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সব তথ্য পাওয়া যাবে। নিহতদের দাফন–কাফনের জন্য পরিবারপ্রতি ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নরসিংদীজুড়ে এখনো শয়ে শয়ে মানুষ রাস্তায়, মাঠে ও খোলা জায়গায় অবস্থান করছেন। বড় ধরনের আফটারশকের সম্ভাবনা থাকায় অনেকেই ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন।
এসএইচ







































