• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

এমপি আনার হত্যা

সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি


আদালত প্রতিবেদক জুন ৩, ২০২৪, ১২:০৪ পিএম
সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ঢাকা : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার মামলায় মো. সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সোমবার (০৩ জুন) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালতের তথ্য মতে, রোববার (০৩ জুন) তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি সিয়ামের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। নেপালে পলাতক সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি আক্তারুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

এর আগে গত শনিবার (০১ জুন) রাতে ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যায় জড়িত আসামি সিয়ামকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য অবস্থান বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবির মাধ্যমে কাঠমান্ডু পুলিশের এনসিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ করা হয়েছে। এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে কাঠমান্ডু পুলিশ প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে কাঠমান্ডু পুলিশ সিয়ামের অবস্থানের খুব কাছাকাছি। তাকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ মে কলকাতায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি কলকাতা থেকে নেপাল চলে যান। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যে আক্তারুজ্জামান শাহীনের কথা বলছে, তিনিও ২০ মে ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমুন্ডু যান। পরে সেখান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

এদিকে, এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য গত শনিবার সকালে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। প্রতিনিধি দলে ডিবি পুলিশের দুজন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদর দফতরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন বলেও জানা গেছে।

প্রথম দফা রিমান্ড শেষে এ মামলার অন্যতম আসামি সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে গত শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ২৪ মে এই তিন আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগের দিন ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!