ফাইল ছবি
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শুরু করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান জানান, পাঁচ মাসেরও কম সময়ে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে এ বছরের ১৪ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওই আদেশ দেন।
সিআইডি জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করা হয়েছিল। তদন্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত উপাত্তের ফরেনসিক বিশ্লেষণ করা হয়। এতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়া যায়।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশ ও বিদেশ থেকে বেশ কয়েকজন অংশ নেন। সিআইডি বলছে, ওই সভায় গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির পরিকল্পনা ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে ৯১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। বাকি ১৯৫ জন পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির দিন ধার্য ছিল। অধিকাংশ আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে অনুপস্থিত আসামিদের বিরুদ্ধেই বিচারকাজ পরিচালনার নির্দেশ দেন।
এসএইচ







































