সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি পৃথক আপিলের শুনানি আজ হতে পারে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান করে গঠিত ছয় সদস্যের বেঞ্চের দৈনিক কার্যতালিকায় মামলাগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দুটি রিট আবেদনের ওপর চূড়ান্ত রায় দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর বেশ কয়েকটি ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। বিশেষভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ ও ২১ ধারা, এবং সংবিধানে সংযোজিত ৭ক, ৭খ ও ৪৪(২) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। একই রায়ে গণভোট সম্পর্কিত ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহালের নির্দেশ দেন আদালত। তবে সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বাতিল না করে বাকি ব্যবস্থাগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সংসদের ওপর ন্যস্ত করেন হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ৮ জুলাই প্রকাশিত ওই ১৩৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক পক্ষ লিভ টু আপিল করেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক–সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ চারজন পঞ্চদশ সংশোধনী পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রথম আপিলটি করেন। নওগাঁর মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক একটি আবেদন করেন। আরেকটি আপিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পক্ষ থেকে আবেদন করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
গত ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ তিনটি আবেদনই গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করে লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ শুনানি। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা মনে করছেন, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায় দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের দিকনির্দেশনা দেবে।
এম







































